ঢাকাবুধবার , ৩ জুলাই ২০২৪
  • অন্যান্য

প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ পুরোপুরি নিষিদ্ধ হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ৩, ২০২৪ ৫:০১ অপরাহ্ণ । ৪৫ জন

পলিথিনের বিকল্প আবিষ্কার করেছে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট। সেটিও বাণিজ্যিকভিত্তিতে উৎপাদনে আনা হবে। এক্ষেত্রে সফল হলে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করে বাজার থেকে উঠিয়ে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। তিনি বলেন, সোনালি ব্যাগ ও পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের যে ব্যাগ আবিষ্কার করবে, সেটার দাম কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। কারণ মানুষ যখন বাজার করে, চার প্রকারের সবজি কিনে, তখন চারটি পলিথিন ব্যাগ দেয়া হয়। আবার যখন বলা হয়, এগুলো একটি ব্যাগে ঢুকিয়ে দেন, তখন আরেকটি পলিথিনের ব্যাগের মধ্যে এই চারটি ব্যাগ ঢুকিয়ে দেয়া হয়। অর্থাৎ পলিথিন এখন বাজারে এমনভাবে গেড়ে বসেছে যে, যা মানবজীবনের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এ নিয়ে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।

বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছিল পাট দিয়ে চা কেন উৎপাদন হবে না। তিনি পাটের চা উৎপাদন করতে বলেছেন। তাই আমরা এরইমধ্যে ‘রোজেলা টি’ ও ‘পাটপাতার চা’ নামের দুটি চা আবিষ্কার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই রোজেলা টিতে অনেক উপকার আছে। আমরা এগুলো শিগগিরই বাজারজাত করব। বাণিজ্যিক পর্যায়ে চলে যেতে পারব। এছাড়া পরিবেশের অন্যতম শত্রু পলিথিন- বন্ধ করতে বিকল্প ব্যাগ হিসেবে সোনালি ব্যাগ আবিষ্কার করা হয়েছে। এই ব্যাগ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাজারে এনে বাণিজ্যিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, চাল, ডাল, আলু ও পিঁয়াজসহ ৮২টি পণ্য আছে, যা বহন করতে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। খুলনা, দিনাজপুর, রংপুর, ফরিদপুর, নরসিংদী ও সিলেট পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সেখানে শতভাগ পাটের বস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্য রফতানি করতে হলে দেশের পাট উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। সে জন্য সব চেষ্টা করছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া পাট উৎপাদন এলাকা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পাটপণ্যেও বৈচিত্র্য আনতে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান জাহাঙ্গীর কবির নানক।