ঢাকামঙ্গলবার , ১৮ জুলাই ২০২৩
  • অন্যান্য

বজ্রপাত থেকে সুরক্ষায় ভৈরব নদের পাশে তাল গাছের চারা রোপন

পাবলিকহেলথ ডেস্ক :
জুলাই ১৮, ২০২৩ ১০:১২ পূর্বাহ্ণ । ২০০ জন

বজ্রপাতের স্বাভাবিক ধর্ম হচ্ছে মাটিতে আঘাত হানার সময় সবচেয়ে উচুঁ ভবন বা স্থাপনা বা গাছ যেটা থাকবে সেখানেই আঘাত করবে। ফলে মাইলের পর মাইল গাছ পালাহীন হাওর অঞ্চলে ফসলের মাঠে কৃষকের শরীরই সবচেয়ে উচুঁ হওয়ায় বজ্রপাতের শিকার বেশি হচ্ছে এ অঞ্চলের কৃষক। এমনকি মাঠে গরু-মহিষ থাকলেও তারাও বজ্রপাতের আঘাতে মৃত্যুবরণ করে।

এ কারণে দেখা যায় বজ্রপাতে মৃত্যুর ৭০ ভাগই কৃষক। বৃষ্টির মধ্যে যারা খোলা মাঠে কৃষিকাজ করতো। এছাড়া বজ্রপাতে মৃতদের মধ্যে ১৪ ভাগ বাড়ি ফেরার পথে, ১৩ ভাগ মারা যায় মাছ ধরা ও গোসল করার সময়। ফিনল্যন্ডভিত্তিক বজ্রপাত বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ‘ভাইসালার’ এ তথ্য জানিয়েছে বলে ডয়েচেবেলে বাংলার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিলে একদিনে সারা দেশে ৯ জন এবং ২৭ এপ্রিলে ছয় জেলায় আরও ৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন বজ্রপাতে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে বছরে ২৬৫ জন মারা যায় বজ্রপাতে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বছরের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০২১ সালে বজ্রপাতে সারাদেশে ৩৬৩ জন মারা যায়। এর আগের বছরে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৩৬ জন। ২০১৯ সালে ১৬৮ জন মারা গিয়েছিল। সবচেয়ে বেশি ৩৫৯ জন মারা গিয়েছিল ২০১৮ সালে।

ফলে বজ্রপাতের আঘাত থেকে বাঁচতে তালগাছের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বজ্রপাত থেকে সুরক্ষায় ভৈরব নদের ওয়াকওয়ের পাশে তালগাছের চারা রোপন করেছে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসন কর্তৃক এ তালগাছ রোপন করা হয়।

তালগাছ রোপনকালে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক, উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (পানি উন্নয়ন বোর্ড), ইউএনও, এসিল্যান্ড, বনবিভাগের কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যরা।