ঢাকারবিবার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

বন্যার পর সুনামগঞ্জে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে নদীভাঙন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ । ৪ জন

বন্যার পর এবার সুনামগঞ্জে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে নদীভাঙন। এতে বিপাকে পড়েছে নদীপাড়ের মানুষ। তিন দফা বন্যার পর নদীভাঙনে অসহায়ত্ব ফুটে উঠছে ভাটি জেলার মানুষের চোখে-মুখে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙনের কবলে পড়ে সদর উপজেলার সদরপুর গ্রামের বাসিন্দা বশির মিয়ার পুরো বসতভিটাটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন নদীপাড়ে বসে প্রায় প্রতিদিনই কাঁদতে দেখা যায় তাকে।

সদরপুর গ্রামের বশির মিয়া বলেন, ‘আমার মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই। সবকিছু নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে যেখানে রাত হয় সেখানেই থাকি। এখন পর্যন্ত আমাদের কেউ খোঁজ নেয়নি।’ শুধু বশির মিয়ার নয়, সদরপুর গ্রামের আরও অনেকেরই শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, নলজুর, বটেরখাল, মহাশিং, নাইন্দাও পুরাতন সুরমা নদীর বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১২ উপজেলার ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার থেকে শুরু করে মসজিদ ও কবরস্থান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে শত কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হলেও কার্যকর ফল মিলছে না।

এদিকে, বসতভিটা হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন পার করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। কিবরিয়া নামের একজন বলেন, ‘ভাঙনে বসতভিটাগুলো নদীতে বিলীন হচ্ছে। অথচ, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও জেলা প্রশাসন কেউ এদিকে নজর দিচ্ছে না।’

সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘বন্যার পর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।’ তবে শত কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়ে ভাঙন রোধে পাউবো কাজ শুরু করেছে বলে জানান তিনি।