ঢাকামঙ্গলবার , ৯ জুলাই ২০২৪
  • অন্যান্য

বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সারা বিশ্বে তার প্রভাব রেখে যাচ্ছে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ৯, ২০২৪ ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ । ৭৮ জন

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলায় সরকারের সব সেক্টর কাজ করছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয় নিজেদের স্ব স্ব কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করছে। বাংলাদেশ শুধু তার নিজের দেশেই নয়,সারা বিশ্ব্ব জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে তার প্রভাব রেখে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

গতকাল (৮ জুলাই) সোমবার বিকালে সিরডাপ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে সমন্বিত গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য জলবায়ু সহনশীল জলজ ও মৎস চাষের প্রচার বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে উপস্থিত সুধীবৃন্দের প্রতি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন৷

সাম্প্রতিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আমরা লক্ষ্য করেছি। ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সাথে সাথে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, সারা দেশে অপ্রত্যাশিত বৃষ্টিপাতের ধরণ,খরা, ঘূর্ণিঝড় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ লক্ষ লক্ষ মানুষের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে৷ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার প্রতি প্রভাব ফেলেছে। আমাদের সরকার এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের সহযোগিতায় কাজ শুরু করেছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমন্বিত গ্রামীণ উন্নয়ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারভিত্তিক বিষয়। তার গতিশীল নেতৃত্বের ৬ষ্ঠ ও ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দারিদ্র্য দূরীকরণ, গ্রামীণ জনগণের জীবমযাত্রার মানোন্নয়ন, কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গ্রামীণ উন্নয়ন ত্বরান্বিত ও টেকশই করার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানো হয়। আমি নিশ্চিত, এসব আমাদের ক্রমবর্ধমান কর্মশক্তিকে লাভজনক করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে বিকাশের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতেও এই প্রধান ক্ষেত্রগুলিকে অন্তর্ভুক্ততির পাশাপাশি মৎস্য ও জলজ চাষসহ গ্রামীণ উন্নয়নের বিভিন্ন দিকের উপর নতুন করে জোর দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশে সমন্বিত গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য জলবায়ু সহনশীল জলজ ও মৎস চাষ প্রচার শীর্ষক আজকের জাতীয় সেমিনারটি আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলির বাস্তবসম্মত সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে৷ যে পথ অনুসরণ করে জলজ ও মৎস চাষ করলে একদিকে যেমন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করবে অন্যদিকে গ্রামীন উন্নয়নের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। পল্লী অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের একটি প্রধান উৎস হয়ে উঠবে।

সিরডাপ মহাপরিচালক ড. চের্দাশাক ভিরাপাট এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম সোহেলসহ আরও অনেকে৷ সেমিনারে মডারেটর হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ চিংড়ি এবং মৎস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক৷ সিরডাপ এবং বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।