অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশকে আপৎকালীন ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক এককালীন ২৫ কোটি ডলার অনুদান দেবে। তবে দুই শতাধিক সবুজ কারখানা থাকলেও জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেস (জিএসপি) সুবিধার বিষয়ে মার্কিন সরকার আরও সময় নেবে। আগস্টের শেষ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ছিল ভারি বৃষ্টিপাত। এতে সৃষ্ট বন্যায় দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে জনজীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। বিশেষ প্রভাব পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থায়। ফসল নষ্ট হওয়ায় ঊর্ধ্বমুখী ছিল নিত্যপণ্যের দাম। এ প্রেক্ষাপটে গ্রামীণ জীবনমান স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে দাঁড়াচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজারের সঙ্গে দেশের আর্থিক খাতের সংস্কার বিষয়ক আলোচনায় বসে বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশকে আপৎকালীন ঝুঁকি মোকাবিলায় এককালীন ২৫০ মিলিয়ন বা ২৫ কোটি ডলার অনুদান দেবে বিশ্বব্যাংক।
এর আগে, মার্কিন স্টেট প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, শ্রমিক ও সব কারখানার কর্মপরিবেশ নির্ধারিত মানে উন্নীত না হওয়ায় আপাতত যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে না বাংলাদেশ। দুই শতাধিক সবুজ কারখানা থাকলেও জিএসপি সুবিধার বিষয়ে আরও সময় নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
সংকট উত্তোরণের পথে বৃহৎ ক্ষেত্রগুলোতে উন্নয়ন সহযোগীদের বিশেষ সহায়তা নব জাগরণে আরও নতুন পরিকল্পনা তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। একদিকে ঋণ প্রদান, অন্যদিকে আর্থিক সহায়তা কিংবা অনুদান সব মিলিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন সোপান রচনা করবে দাতাগোষ্ঠীগুলোর এসব সহায়তা — এমনটাই মনে করেছেন সরকারের প্রতিনিধিরা।