সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, গত ৪০ দিনে বাংলাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২০৫ জন মারা গেছেন, যা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখন দেশের অনেক এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের ভিড় বাড়ছে, এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
ডেঙ্গুর আক্রান্ত সংখ্যা, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৬৭ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৪ হাজার ৮০০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি ঘটেছে, বিশেষত বর্ষাকালে মশার প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে। বৃষ্টিপাত ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া মশার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে, যা ডেঙ্গু বাহক এডিস মশার বিস্তারকে সহজ করে তোলে। ফলে এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর জটিল ধরণের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকা এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়া মৃত্যুর প্রধান কারণ হতে পারে। তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম এবং হেমোরেজিক ডেঙ্গু কারণে রক্তক্ষরণজনিত জটিলতা দেখা দেয়, যা রোগীর জীবনহানির ঝুঁকি বাড়ায়। দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব রয়েছে।
সতর্কতা এবং পরামর্শ, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা মশারি ব্যবহার, জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখা, এবং ঘরের আশেপাশে আবর্জনা পরিষ্কার রাখার উপর জোর দিয়েছেন। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি বর্তমানে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা ও স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার উন্নতি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব।