বিজয় দিবস ও নিউ ইয়ারের (ইংরেজি নববর্ষ) বাজার ধরতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন যশোরের গদখালীর ফুলচাষিরা। বৃষ্টির কারণে দুমাস পিছিয়ে গেলেও ফুলক্ষেতের পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তবে এসব দিবসে ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয়ে আছেন ব্যবসায়ীরা।
গদখালী জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার একটি এলাকা। এখানকার এখন গাছে গাছে গোলাপি, হলুদ, বাসন্তি, আর সাদা রঙের ফুলের সমারোহ। যত্ন করা হচ্ছে ছাউনির নিচে। এখানকার চাষিরা সারা বছর ফুল বিক্রি করলেও তাদের মূল বেচাকেনা হয় বিজয় দিবস ও নিউ ইয়ারসহ বিভিন্ন উপলক্ষে।
আসন্ন বিজয় দিবস ও নিউ ইয়ারের বাজার ধরতে এখন পুরোপুরি প্রস্তুতি নিচ্ছেন চাষিরা। অসময়ের বৃষ্টির কারণে এ বছর গাঁদা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, রডস্টিক ও চন্দ্র মল্লিকাসহ বেশকিছু ফুল নষ্ট হওয়ায় নতুন করে আবারও চাষ শুরু করেছেন তারা। তবে উঁচু জমিতে পুরনো গোলাপ, জারবেরা ও গাঁদাসহ বিভিন্ন ফুলের ক্ষেত নিয়মিত পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন চাষিরা।
নতুন গাছে ফুল আসতে সময় লাগলেও গোলাপ ও জারবেরা দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান ফুল চাষিরা। তারা জানান, এ বছর অতি বৃষ্টির কারণে প্রায় দেড় মাস পর শুরু করতে হয়েছে ফুলচাষ। তাই গোলাপ ও জারবেরা বিক্রি করে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে।
আগামী দুমাসে বিশিষ বিশেষ দিবসে ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয়ে আছেন ব্যবসায়ীরা। যশোরের বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার্স সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেশকটি বিশেষ দিবস আছে। তবে একসঙ্গে বেশি ফুল বিক্রি করায় দাম কমেও যেতে পারে। এতে লোকসানও গুনতে হতে পারে চাষিদের।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোরে প্রায় ৬ হাজার কৃষক এক হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ১৩ ধরনের ফুল চাষ করে থাকেন।