ঢাকাসোমবার , ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাজারে তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুরের সংকট নেই : বাণিজ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫ ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ । ৫ জন

বাজারে তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুরের সংকট নেই জানিয়েছে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়বে না। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে ‘খাদ্য পণ্যের যৌক্তিক দাম: বাজার তত্ত্বাবধায়নের কৌশল অনুসন্ধান’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে আমদানি ব্যবস্থা ও মজুত যথেষ্ট আছে। ইনশাআল্লাহ রমজান উপলক্ষে কোনো সমস্যা হবে না। বাজারে তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুরের কোনো সংকট নেই।’ ‘আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যের যে দাম দেখি, তাতে দেশের বাজারে দাম কমার কথা, দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখি না!’

খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক মূল্য কী হতে পারে, তা নিয়ে আজ (রবিবার) অনেক আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এগুলো কীভাবে কাজে পরিণত করা যায়, তা নিয়ে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা হবে। ভোক্তাকে সত্যিকার সাহায্য করার জন্য নীতি প্রণয়ন দরকার।’

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বাজারের সঠিক প্র্যাকটিস নিশ্চিত করার জন্য প্রতিযোগিতা কমিশন আছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আছে, ব্যবসায়ের পরিসর বৃদ্ধি করার জন্য আছে টিসিবি। সর্বোপরি, বাজারকে ভোক্তার জন্য সহনীয় করতে ট্যারিফ কমিশন ও এনবিআর কাজ করছে।’

এ সময় তিনি স্থানীয় উৎপাদক, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজার সৃষ্টির আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘বছরে ৫-৬ লাখ টন রাইস ব্র্যান অয়েল ভারতে চলে যেত। রাইস ব্রান অয়েল স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। আমরা এটার রপ্তানি কঠিন করে দিয়েছি। অলরেডি ২৫ শতাংশ রেগুলেটরি ট্যাক্স ইম্পোজ (আরোপ) করা হয়েছে। এই তেল বাজারে এলে বর্তমানের চেয়ে তেলের বাজার আরও স্থিতিশীল হবে।’

বোতলজাত তেল ও খোলা তেলের ভেতর কোনো পার্থক্য নেই, একমাত্র পার্থক্য দাম বলেও এ সময় উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।

বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিযোগিতা কমিশনকে স্বাধীন করার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা। বলেন, ‘আমাদের নীতিগুলো ধনিক শ্রেণির সুবিধার জন্য তৈরি হয়েছে, সাধারণ মানুষের জন্য নয়। গত ১৫ বছরে দেশে বড় কোনো বিনিয়োগ হয়নি, ফলে কর্মসংস্থানও বাড়েনি। বিনিয়োগ না বাড়লে ট্যাক্স কালেকশন কীভাবে বাড়বে?’

‘ব্যাংকগুলোকে অপরাধ-প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক, টিসিবি ধ্বংস করা হয়েছে। টিসিবির তালিকায় ৪৩ লাখ ভুয়া উপকারভোগী পাওয়া গেছে, যা আরও যাচাই করা দরকার।’

অনুষ্ঠানে কি-নোট উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. আবদুর রহিম খান, জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক সার্জিস আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বক্তৃতা করেন।