২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ব্রিটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি থেকে সরকারের থাকা শেয়ার প্রত্যাহার করতে হবে। কারণ নামমাত্র এই শেয়ারের অজুহাতে সচিবসহ ৪ জন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে বোর্ডে পরিচালক হিসাবে বিএটিবি নিয়োগ দেয়ার সুযোগ পায় বলে জানান অর্থনীতিবিদ ও পিকেএসএফ চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
আজ সোমবার (১২ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সভাকক্ষে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা আয়োজিত তামাক কর বিষয়ক বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঠেকাতে তামাক কোম্পানিগুলো হস্তক্ষেপ করছে। ব্রিটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ এ মাত্র দশমিক ছয় চার শতাংশ শেয়ার সরকারের নামে আছে। আর এই নামমাত্র শেয়ারের কথা বলে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিজেদের বোর্ডে নিয়োগ দেয় বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানিটি। যারা নুন খায় তারা বিভিন্নভাবে তামাক কোম্পানির গুণ গায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক কোম্পানির এই হস্তক্ষেপ বন্ধে এখনই ব্রিটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো থেকে থেকে সরকারের যে শেয়ার আছে, সেটা প্রত্যাহার করতে হবে। একইসাথে তামাকজাত পণ্য রফতানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক ছিল সেটা দ্রুত পুর্নবহাল করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা প্রশংসা করি সরকারের কারণ দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কর না বাড়ানোয় এটা সরকারের খুব একটা লাভ হয়নি জনস্বাস্থ্যের।