ঢাকাশুক্রবার , ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

বিএডিসির গণশুনানি : বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায় বাংলাদেশ

পাবলিক হেলথ ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩ ৯:৪৮ অপরাহ্ণ । ১০৮ জন

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) আয়োজিত গণশুনানিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রতিবছর বিদেশে থেকে বীজ আমদানি করে। এতে প্রচুর পরিমাণে টাকা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে চলে যায়, যা দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে। সরকার বীজ সরবরাহে বিদেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য আমদানি না করে দেশেই শতভাগ বীজ উৎপাদন করার মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ২০৫০ সালের মধ্যে বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায়।

আজ শুক্রবার ২৯ ডিসেম্বর সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের সেচ ভবনে বিএডিসি অডিটোরিয়ামে বিএডিসি’র অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) বিষয়ে স্টেক হোল্ডারদের অংশগ্রহণমূলক গণশুনানিতে এ-সব কথা বলেন বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি। গণশুনানিতে কৃষক, ডিলার ও আমদানি ও রপ্তানিকারকগণসহ প্রায় ৩০০ জন অংশ নেন।

বিএডিসির মহাব্যবস্থাপক (বীজ) মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএডিসির সদস্য পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) মো. আব্দুস সামাদ, সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্রসেচ) মো. মজিবর রহমান, সদস্য পরিচালক (অর্থ) মো. আশরাফুজ্জামান, বিএডিসির সচিব মেরিনা সারমীন, বিএডিসি’র মহাব্যবস্থাপক (এএসসি) ওবায়দুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (সার বিভাগ) মো. ফখরুল হাসান প্রধান, মহাব্যবস্থাপক (উদান বিভাগ) মো. জামিনুর রহমান, প্রধান মনিটরিং বিভাগ মো. আব্দুস ছাত্তার গাজী, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (খামার) মো. আজিম উদ্দিন, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্স) ড. মো. ইসবাত ও অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (বীপ্রস) দেবদাস সাহা প্রমুখ।

বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ বলেন, শহরায়নের কারণে ক্রমেই কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। এ কারণে কম জমিতে অধিক ফসল ফলানোর জন্য হাইব্রীডসহ উন্নত বীজ সরবরাহে বিএডিসি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার কৃষিক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি দিচ্ছে। এখনো দেশে কৃষকদের কাছে বিএডিসি’র বীজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আমরা সেই চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশের কারণে আজ দক্ষিণাঞ্চলের বিরাট এলাকায় লবণাক্তার কারণে চাষাবাদে ব্যাপক পরিবর্তন আনছে বিএডিসি। আবহাওয়া ও পরিবেশ উপযোগী কয়েকটি প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চল, পাহাড়ী অঞ্চল ও হাওড় অঞ্চল উপযোগী বীজ তৈরি করছে বিএডিসি। পাশাপাশি খাল খনন, পানির রিজার্ভার নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।