ঢাকামঙ্গলবার , ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য

বিজেআরআই-এ বার্ষিক কৃষি গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ৫, ২০২৩ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ । ৪৮১ জন

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) সম্মেলন কক্ষে ‘বার্ষিক কৃষি গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা ২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর সোমবার বিজেআরআই-এর কৃষি গবেষণা উইং এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (গবেষণা অনুবিভাগ) রেহানা ইয়াসমিন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজেআরআই-এর মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়াল এবং কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজেআরআই-এর কৃষি উইংয়ের পরিচালক ড. নার্গীস আক্তার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেহানা ইয়াসমিন বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে পাটের উৎপাদনের জমির পরিমাণ কমলেও উৎপাদন বেড়েছে। জমির পরিমাণ কেন কমেছে তা পরীক্ষা করার জন্য বিজ্ঞানীদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পাট উৎপাদনের জমির পরিমাণ বাড়িয়ে পাটকে আরো বেশি জনপ্রিয় করতে হবে। প্লাস্টিক পণ্যের ক্ষতিকর দিক নিয়ে সচেতনতার সুযোগে পাট পণ্য রপ্তানিতে আমরা যে প্রথম স্থান অধিকার করেছি, সেখানে আরো এগিয়ে আসতে হবে। যেহেতু পাট পাতা আমরা সরাসরি শাক হিসেবে খাই, সেহেতু পাট শাক উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোন রাসায়নিক কী পরিমাণে ব্যবহার করা যাবে সে ব্যাপারেও বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মো. আবদুল আউয়াল বলেন, ৭৩টি দেশ সিন্থেটিক কাপড় ব্যবহার না করার অঙ্গীকার করেছে। ফলে পাটের চাহিদা বেড়ে গেছে। পাটের উৎপাদন বেড়েছে, ৭.৬৪ লক্ষ টন পাট চাষ হয়েছে। পাটের মূল্য নির্ধারণে পাট অধিদপ্তর ভূমিকা পালন করে, সেখানে বিজেআরআই-এর কোনো প্রতিনিধি নেই। বোরো ধান, টি-জুট, টি-আমন, সরিষা- এই ৪টি ফসলের ক্রপিং প্যাটার্নের প্রযুক্তি বিজেআরআই উদ্ভাবন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. নাথু রাম সরকার বলেন, পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় হলেও রপ্তানির দিক থেকে আমরা প্রথম এবং প্রায় পাঁচ লক্ষ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাটের সাথে জড়িত। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, আমরা পাট রপ্তানি করে গত বছর প্রায় ২.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জন করেছি এবং ২০২৭ সালের পাট রপ্তানির টার্গেট ধরা হয়েছে ৩.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কারিগরি উইং-এর পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. মোসলেম উদ্দিন, জুট টেক্সটাইল উইং-এর পরিচালক ড. ফেরদৌস আরা দিলরুবা, পিটিসি উইং-এর পরিচালক ড. মাহমুদ আল হোসেন, প্রশাসন ও অর্থ উইং-এর পরিচালক ড. এস. এম. মাহবুব আলীসহ বিভিন্ন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।