শঙ্কা জাগাচ্ছে বাংলাদেশ বিমানে থাকা বোয়িংয়ের উড়োজাহাজের যান্ত্রিক ত্রুটি। সম্প্রতি এমন বেশ কয়েকটি ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে মন্ত্রণালয়। কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সংস্থাটির প্রকৌশল বিভাগকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্লাইটের চাপ বেশি থাকায় গুরুত্ব দিতে হবে রক্ষণাবেক্ষণে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানালেন বিমানমন্ত্রী ফারুক খান।
বহরে থাকা নতুন উড়োজাহাজের সঠিক ব্যবহার বাড়িয়ে লাভজনক অবস্থায় থাকতে মরিয়া বাংলাদেশ বিমান। অবস্থান ধরে রাখতে তুলনামূলক স্বল্প পরিমাণ ক্যারিয়ার দিয়েই এটি পাখা মেলছে নতুন নতুন রুটে। ফলে যাত্রীরা উচ্ছ্বসিত হলেও ঝুঁকি বা শঙ্কায় ফেলেছে অনেক উড়োজাহাজের একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি।
বাংলাদেশ বিমানের বহরে থাকা ২১টি মধ্যে ১৬টিই বোয়িংয়ের তৈরি উড়োজাহাজ। এর মধ্যে সম্প্রতি যান্ত্রিক ও টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল, তেলের ট্যাংকিতে লিকেজ এবং উইন্ডশিল্ড ফেটে যাওয়াসহ নানা কারণে বাড়ছে যাত্রী অস্বস্তি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উজোজাহাজের পরীক্ষার প্রয়োজন হয় এ, বি, সি ও ডি ক্যাটাগরির। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং যন্ত্রাংশের কোয়ালিটি নিশ্চিতে সমন্বয় না থাকলে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এ টি এম নজরুল ইসলাম বলেন, একটা এয়ারলাইন্সে মেইনটেইনেন্স সিস্টেমে ৩টি প্রমিনেন্ট অরগানাইজেশন কাজ করে। কাজেই সেখানে সমন্বয়ের কোনো ঘাটতি আছে কিনা, সেটা দেখা দরকার।
আকাশ পথের হাজার হাজার কোটি টাকা মূল্যের এসব পরিবহন এমনিতেই স্পর্শকাতর। তাহলে কেন এতটা টেকনিক্যাল সমস্যা, তা নিয়ে কপালে যেন ভাঁজ বিমান মন্ত্রণালয়ের। প্রকৌশল বিভাগকে আরও তৎপর হওয়ার এবং সম্ভাব্য উপকরণ আগেই কেনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান বিমানমন্ত্রী।
ফারুক খান বলেন, বিগত দিনগুলোতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হয় ফ্লাইট বিলম্ব হয়েছে অথবা ফেরত আসতে হয়েছে। এতে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন যাত্রীরা। আমাদের মেইনটেইনেন্স সিস্টেমটা আরও উন্নত করতে হবে। এরই মধ্যে আমি প্রধান প্রকৌশলী এবং এর সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলেছি।
তবে বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ সংক্রান্ত জটিলতার পেছনে প্রকৌশলী টিমের দায়িত্বহীনতা দায়ী, নাকি পরিকল্পিত কোনো অসৎ মহলের ইন্ধন, তা খতিয়ে দেখার দাবি এভিয়েশন সংশ্লিষ্টদের।