জনসংখ্যা, অভিশাপ নাকি আশির্বাদ পুরোটাই নির্ভর করে দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা ও সমাজের ওপর। বর্তমান বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এক বিরাট সমস্যা হয়ে উঠেছে। পৃথিবীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সূচকে প্রথম ৩০টি দেশের মধ্যে ২৭টিই আফ্রিকান দেশ। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, তানজানিয়া ও ইথিওপিয়া ২১০০ সালের মধ্যে জনবহুল দেশ বাংলাদেশ, মেক্সিকো ও ব্রজিলকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ হিসাবে বলা যায়, এ দেশগুলো পৃথিবীর সর্বাধিক উর্বর। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.১১৬% এবং জনসংখ্যার সূচকে বিশ্বে ৮ম।
তবে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বিপরীত চিত্র দেখা যায়। কারণ সেখানে গড় উর্বরতা মহিলা প্রতি ২.১ শিশু যা বর্তমান জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের জন্য যথেষ্ট নয়। ফলস্বরূপ জাপান, ইউক্রেন, লাটভিয়া ও রোমানিয়ার মতো দেশগুলোতে ২০৫০ সালের ভেতর জনসংখ্যা ১৫% হ্রাস পেতে পারে।
কোন দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ
সর্বশেষ ডেমোগ্রাফিক তথ্য অনুযায়ী সিরিয়ায় সর্বোচ্চ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বিদ্যমান (৬.৩৯%) গত ৭০ বছরে সিরিয়ার জনসংখ্যা ৩৬৬.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। শিশুমৃত্যুর হার কমে যাওয়ায় এই বৃদ্ধির কারণ হিসেবে চিহ্নিত।
কোন দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন
দেশের আয়তন হিসাব না করলে ইউরোপে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন। লাটভিয়া, লিথুনিয়া, রোমানিয়া, ইসটোনিয়ায় এ হার যথাক্রমে -১.১৩%, -১.০৪%, -১.০১%, -০.৭৪%। সর্বনিম্ন হার মলডোভায় যা -১.১৪%। ইউরোপের দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিম্ন হারের কারণ হিসাবে বলা যায়-উচ্চ অভিবাসন, অনুর্বরতা ও নিম্ন শিশু জন্মহার।
অবাক হলেও সত্যি যে, অনুর্বরতার প্রবণতা এমন এক সময়ে দেখা দিয়েছে যখন কৃত্তিম উর্বরতার নানা পদৃধতি যেমন, আইভিজি, হিমায়িত ডিম্বাণু (ফ্রোজেন এগ), আইভিআই, টিআইসি, আইভিএফ এর মতো যুগান্তকারী প্রযুক্তি আমাদের হাতের নাগালে রয়েছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সূচকে প্রথম ৩০ দেশ
৩০. পাপুয়া নিউ গিনি
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার- ২.৩১%
২৯.রিপাবলিক অফ কঙ্গো
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার- ২.৩৩%
২৮. গ্যাবন
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার- ২.৩৯%
২৭. ভেনিজুয়েলা
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার- ২.৪০%
২৬. সিয়েরা লিওন
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার- ২.৪১%
২৫.ইথিওপিয়া
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-২.৪২%
২৪. টঙ্গো
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-২.৪৫%
২৩. বুরকিনা ফাসো
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-২.৪৬%
২২.সোমালিয়া
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-২.৪৯%
২১. সেনেগাল
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-২.৫২%
২০. নাইজেরিয়া
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-২.৫৩%
১৯. গিনি বিসয়ু
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-২.৫৪%
১৮.সুদান
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-২.৫৫%
১৭. মোজাম্বিক
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-২. ৫৫%
১৬.লাইবেরিয়া
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-২.৭১%
১৫. ক্যামেরুন
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-২.৭৩%
১৪.গিনি
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-২.৭৫%
১৩. তানজানিয়া
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-২.৭৫%
১২.জাম্বিয়া
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-২.৮৬%
১১. মালি
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার- ২.৯৩%
১০. চাঁদ
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-৩.০৫%
৯. ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-৩.১৩%
৮. উগান্ডা
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-৩.২২%
৭. বেনিন
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-৩.৩১%
৬. আ্যাঙ্গোলা
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-৩.৩৪%
৫. ইকুয়িটোরিয়াল গিনি
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-৩.৩৬%
৪. বুরুন্ডি
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-৩.৫৯%
৩. নাইজার
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-৩.৬৬%
২. দক্ষিন সুদান
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-৪.৭৮%
১. সিরিয়া
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-৬.৩৯%
সুত্র-https://finance.yahoo.com/news/30-countries-highest-rates-population-083747140.html