জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ নানা কারণে বিশ্বের বড় বড় শহরে বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। মেগাসিটি ঢাকার বায়ুদূষণও বেড়েছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বায়ুমানের কিছুটা উন্নতি হয়। আবার বৃষ্টিপাত কমতেই ঢাকার বাতাস হয়ে ওঠে ‘অস্বাস্থ্যকর’। তবে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকার বাতাস আজ ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টা ৫ মিনিটের দিকে বায়দূষণে বিশ্বের ১২১টি শহরের মধ্যে ভারতের দিল্লি রয়েছে শীর্ষে। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে দিল্লির স্কোর ২৭১। বাতাসের এ মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয়। আর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ৪১ স্কোর নিয়ে রয়েছে ৯০তম স্থানে। ঢাকার বাতাস আজ জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় অবস্থান রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর যার স্কোর ২০৮; আর ১৭২ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি; এছাড়া ১৫৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর এবং ১৪৮ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হলে ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন -বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।