ভোলা, জেলায় আমন ধান আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। শ্রাবণের টানা বৃষ্টিতে এখানকার ৭ উপজেলায় চলছে এ কার্যক্রম। ইতিমধ্যে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। চলতি মৌসুমে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯৩৬ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে উফশী ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪৫০ হেক্টর, স্থানীয় ৯ হাজার ৪১৬ ও হাইব্রিড ৭০ হেক্টর রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আবাদ কার্যক্রম লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ।
এছাড়া নির্ধারিত জমি থেকে প্রায় ৫ লক্ষ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। যা থেকে হেক্টর প্রতি চাল উৎপাদন হবে ২ দশমিক ৮৫ মেট্রিক টন। আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, জেলায় বিভিন্ন জাতের আমন ধানের আবাদ করা হয়। এর মধ্যে হাইব্রিড’র রয়েছে ব্রি হাইব্রিড-৭, ব্রি-হাইব্রিড ৬, এসিআই-১, সোনার বাংলা। আর উফশির মধ্যে ব্রি ধান-৫২, ৪০, ৪১, ৪৪, ৪৯, ৫১, বিনা ২০, ১৭, হরিধান, স্বর্ণা। এছাড়া স্থানীয় জাতের মধ্যে রাজা শাইল, কার্তিক শাইল, কাজল শাইলসহ বিভিন্ন জাতের আবাদ করা হয়।
এদিকে জেলায় আমন আবাদের জন্য ২৬ হাজার কৃষককে ৫ কেজি বীজ ও ২০ কেজি করে সার প্রদান করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। আমন চাষে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে প্রায় ৩’শ প্রদর্শনীর।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: হাসান ওয়ারিসুল কবির বলেন, আমন ধান মূলত বৃষ্টি নির্ভর ফসল। বর্তমানে শ্রাবণের যে টিপ টিপ বৃষ্টি চলছে এটা আবাদের জন্য ভালো। তবে অতি বা ভারী বৃষ্টি ক্ষতিকর। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা কৃষকদের পরামর্শ সেবা দিয়ে আসছে। তারা যেন রোপণের ক্ষেত্রে চারার সংখ্যা কমিয়ে দেয় এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না করে পানি বের করার ব্যবস্থা রাখে। কৃষকরা যদি যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে ও শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তবে জেলায় আমন আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।