ঢাকামঙ্গলবার , ২৫ জুন ২০২৪
  • অন্যান্য

যশোরের চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনাম ইনজেকশন মজুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৫, ২০২৪ ১২:০৮ অপরাহ্ণ । ৮৬ জন

যশোর, জেলার চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিভেনাম ইনজেকশন মজুদ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় ইনজেকশনটি মজুদ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। এ সময় অনেক মানুষ সাপের দংশনের শিকার হন। যার কারণে দেশের বেশির ভাগ উপজেলা হাসপাতালে অ্যান্টিভেনামের মজুদ ও সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। কাউকে সাপে কামড়ালে এ হাসপাতালে চিকিৎসার বন্দোবস্ত আছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন নাহার লাকি জানান, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিভেনম মজুদ আছে। সাপ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।

তিনি আরো জানান, আতঙ্কিত না হয়ে সাপের কামড় এড়াতে চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। লম্বা ঘাস, ঝোপঝাড় ও চাষবাসের এলাকায় হাঁটার সময় সতর্ক থাকতে হবে। রাতে চলাচলের সময় টর্চ লাইট ব্যবহার করতে হবে।

তিনি বলেন, কাউকে সাপে কাটলে অনেকেই রোগীকে আগে ওঝা বা কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়। যখন রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায় তখন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন ডাক্তারদের আর কিছইু করার থাকে না। এ কারণে আমাদের দেশে সাপের কামড়ে বেশি মানুষ মারা যায়। তাই কাউকে সাপে কাটলে তাকে ওঝা বা কবিরাজের কাছে নিয়ে না সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে বিনামূল্যে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের বিষধর সাপের তালিকায় রাসেলস ভাইপার এর অবস্থান অনেক পেছনে। রাসেলস ভাইপার মানুষ দেখে তেড়ে এসে দংশন করে এটি সম্পূর্ণ গুজব। রাসেলস ভাইপারের অনেকগুলা প্রজাতি রয়েছে। এরা নিরীহ প্রকৃতির সাপ। এদের গায়ে আঘাত না করলে কাউকে কামড়ায় না। ফলে রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।

তিনি বলেন, এ সাপে যদি কাউকে কামড়ায়, তাহলে সময়মত চিকিৎসা দিলে কোনো ক্ষতি হবে না। শুধু রাসেলস ভাইপার নয়, যে কোনো সাপ কামড়ালে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে হবে।