রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় শুক্রবার ভোররাতে ও বৃহস্পতিবার রাতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মোট চারজন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের শায়েস্তাপুরে এবং শুক্রবার ভোররাত সাড়ে চারটায় মাদারহাটে এ দু’টি দুর্ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার রাতে নিহতরা হলেন- রংপুরের মিঠাপুকুরের হযরতপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মিন্টু মিয়া (৩০), পীরগাছার চাঁদ চৌধুরী গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫০) ও অজ্ঞাত একব্যক্তি।
অন্যদিকে, শুক্রবার ভোররাতে রংপুরের পীরগাছার নারায়নপুরের আব্দুল মতিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩০) নিহত হন।
বড়দরগাহ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পীরগঞ্জের শায়েস্তাপুরে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের (চট্রগ্রাম ব ১১-০২৪৫) পিছনে বেস্ট ওয়ান পরিবহনের একটি বাস (রংপুর ব ১১-০০০৫) ধাক্কা দেয়। এতে হানিফ পরিবহনের বাসটির পিছনের অংশ ও বেস্ট ওয়ান পরিবহনের বাসটির সম্মুখভাগ দুমড়েমুচড়ে যায়। এ সময় প্রায় ২০জন যাত্রী আহত হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতের উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ সময় অজ্ঞাতনামা একজনের মৃত্যু ঘটে। রাতেই আশংকাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিন্টু মিয়া ও রফিকুল ইসলামের মৃত্যু ঘটে।
তিনি জানান, নিহত মিন্টু ও রফিকুলের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলেও অজ্ঞাতনামা একব্যক্তির মরদেহ এখনও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
অন্যদিকে, এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহত অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, আজ শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৪টায় পীরগঞ্জে ঢাকা- রংপুর মহাসড়কের মাদারহাটে অজ্ঞাতনামা গাড়ীর পিছনে নারায়নগঞ্জ থেকে বাসা-বাড়ির মালামাল নিয়ে আসা একটি পিকআপ (ময়মনসিংহ ন ১১-০৩৪৭) ধাক্কা দেয়। এতে কয়েকজন আহত হয়। পুলিশ ও স্থানীরা আহতের উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় ওই মালামালের মালিক আশরাফুল ইসলামকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।