ঢাকারবিবার , ১০ নভেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

রাজধানীতে বর্জ্যব্যবস্থাপনায় বড় অনিয়ম!

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ১০, ২০২৪ ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ । ২২ জন

দেড় দশক ধরে ঘুরে ফিরে ৪টি প্রতিষ্ঠানই পাচ্ছে কাজ। ঢাকা উত্তর সিটির বর্জ্যব্যবস্থাপনায় অনিয়মের অভিযোগ অন্য ঠিকাদারদের। এতে সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ও তার স্বজনদের জড়িত থাকার অভিযোগও তাদের। ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) বলছে, শিগগিরই নতুন দরপত্র আহ্বান করা হবে।

কোটি পরিবারের বসবাস ঢাকা শহরে। প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে মানুষ প্রতিদিনই তৈরি করছে প্রায় সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টন বর্জ্য। আর এ বর্জ্য বাসাবাড়ি থেকে সংগ্রহ করে আমিনবাজার বা মাতুয়াইলে ময়লার ভাগাড়ে পৌঁছে দিতে অনিয়মের অভিযোগ অনেকের।

বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে প্রথমে নেয়া হয় সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে (এসটিএস)। সেখান থেকে সে বর্জ্য যায় মাতুয়াইল বা আমিনবাজারে ময়লার ভাগাড়ে। ১৬ বছর ধরে ঘুরে ফিরে ৪ জন ঠিকাদারই পাচ্ছেন সে কাজ।

কয়েকজন ঠিকাদার অভিযোগ করছেন, টেন্ডারে এমনভাবে শর্ত দেয়া হতো, যাতে ঘুরেফিরে ৪টি প্রতিষ্ঠানই কাজ পায়। এমনকি সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের কয়েকজন স্বজন এতে জড়িত বলেও মনে করেন তারা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দুই সিটিতেই প্রশাসক বসিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে দক্ষিণ সিটি বর্জ্যব্যবস্থাপনায় কথিত সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিলেও আগের মতোই চলছে উত্তর সিটি।

ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান বলেন, এটি সংশোধন করা হবে। ১৭ তারিখে টেন্ডার ওপেন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন আবেদন পেয়েছি। তাই আমরা সেগুলোকে বিবেচনায় নিচ্ছি, যাতে সর্বোচ্চ অংশগ্রহণকারী নিতে পারি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অনিয়ম স্থায়ীভাবে বন্ধে সিটি করপোরেশনের বেশকিছু নিয়ম-কানুনের সংস্কার প্রয়োজন।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, নাগরিক সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর দীর্ঘদিনের অসুখ নিরাময় করা না গেলে শুধু সিদ্ধান্ত নিয়ে বা কিছু নিয়ম-কানুন পরিবর্তন করে অবস্থার পরির্তন করা যাবে না। অনিয়ম বন্ধে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বা যে রূপে পরিচালনা করা দরকার, সেটি স্থায়ীভাবে করা প্রয়োজন।

নাগরিক সেবা বাড়াতে করপোরেশনগুলোকে উদ্যোগী হওয়ারও পরামর্শ দেন এ বিশ্লেষক।