দেশে নয় জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে ঢাকার রাস্তা দখলে নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। রবিবার রাজধানীর প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট ও সচিবালয় এলাকায় পুলিশি বেরিকেড ফেলে পুরো রাস্তা অবরোধ করেছেন তারা। এতে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সকাল ১১টার দিকে হাইকোর্ট গেটের মুখে গিয়ে দেখা যায়, আনসার সদস্যরা পুলিশি ব্যারিকেড ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন। এ সময় তারা অ্যাম্বুলেন্স, স্কুল-কলেজের বাস এবং সরকারি জরুরি সেবার গাড়িও চলাচল করতে দিচ্ছেন না। সকাল ৯টায় তারা প্রথম প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তা অবরোধ করেন। এরপর হাইকোর্ট মোড় ও সচিবালযয়ের মূল গেট পর্যন্ত ব্যারিকেড দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেন।
হাইকোর্ট মোড়ে রিকশাচালক ও সাধারণ পথচারীদের সঙ্গেও বাক-বিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গেছে আনসার সদস্যদের। এ সময় ভোগান্তির শিকার পথচারীরা কথা বললেই আনসার সদস্যরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদাহরণ টানছেন।
সকাল ১০টা থেকে গুলিস্তান শিশুপার্ক, মতিঝিল শাপলা চত্বর, কাকরাইল, মালিবাগ মৎস্য ভবন ও শাহবাগ মোড় পর্যন্ত তীব্র যানজট দেখা গেছে। রোববার সপ্তাহের প্রথম অফিস ডে হওয়ায় রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশি, এতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। এছাড়া চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন পথচারীরা।
আগারগাঁও শেরেবাংলা নগর একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত আনসার সদস্য বায়েজিদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত রাস্তা ছাড়ব না। সারাদেশ থেকে আনসার সদস্যরা আজকের সমাবেশে অংশ নিয়েছেন।’ তিনি বলেন, আজ ১৮ থেকে ২০ হাজার সদস্য সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। চট্টগ্রাম থেকে আরো একটি দল সমাবেশের উদ্দেশে রওনা করেছে।
এ সময় রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলনে বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যখন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করেছেন তখন এসব পথচারীরা কোথায় ছিল। এ সময় তো তাদের সমস্যা হয়নি, আজকে আনসার সদস্যরা রাস্তায় নামলেই মানুষের এত সমস্যা হয় কীসের জন্য।