ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে জলোচ্ছ্বাস ও জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে লোকালয়। এর ফলে ভেসে গেছে খুলনার অন্তত ৩ হাজার ৬০০টি পুকুর এবং ৯ হাজার ১১৫টি ঘেরের মাছ, চিংড়ি, কাকড়া, পোনা। এতে ২৪৫ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনার ৯টি উপজেলার মধ্যে কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া ও রূপসা- এই ৬টি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের মাছচাষীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ঝড়ের তাণ্ডবে জেলার ওই ৬ উপজেলার ৩৫৫ দশমিক ৩০ হেক্টর জমির ৩ হাজার ৬০০টি পুকুর এবং ১০ হাজার ২২৩ দশমিক ৭৫ হেক্টর জমির ৯ হাজার ১১৫টি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে ১ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমির ১ হাজার ৩৫৬টি কাকড়া/কুচিয়ার খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলা মৎস্য অফিসের তথ্যানুসারে, এবারের ঝড়ে মোট ক্ষতি হওয়া মৎস্য সম্পদের মধ্যে ৬৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ৩ হাজার ৭৮ মেট্রিকটন মাছ, ১১৪ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের ২ হাজার ৫৬৪ মেট্রিকটন চিংড়ি, ২০ কোটি ৫৭ হাজার টাকা মূল্যের ৬৩৬ মেট্রিকটন পোনা, ১৮ কোটি ৬৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের ১০২ দশমিক ২০ মেট্রিকটন কাকড়া/কুচিয়া, ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ২৭০ মেট্রিকটন পিএল, ২০ লাখ টাকা মূল্যের ২০টি নৌকা/ট্রলার/জলযান এবং ১৬ কোটি ১১ লাখ টাকার অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।
খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে খুলনায় মৎস্য চাষীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করেছি। এতে ২৪৫ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার সাদা মাছ, চিংড়ি, পোনা, কাকড়া ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।’