১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যেকোনও বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশনের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রতি মাসে টাকা জমা দিতে হবে, ন্যূনতম ১০ বছর টাকা জমা না দিলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না। ৬০ বছর হওয়ার পর পেনশন পেতে শুরু করবেন। মানুষের পেশা ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে সরকার চারটি স্কিম ঘোষণা করেছে। প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা এই চারটি স্কিম থেকে নিজের অবস্থান অনুযায়ী স্কিম বেছে নেওয়া যাবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তির জন্য ব্যক্তিকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এজন্য ইতোমধ্যে ‘ইউপেনশন’ (https://www.upension.gov.bd) নামে ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) থেকেই যে কেউ পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তর সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেভাবে নিবন্ধিত হওয়া যাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে ইউপেনশন ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের ওয়েবসাইটে লাল মার্ক করে লেখা রয়েছে ‘ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন করলে সেই আবেদন বাতিল হবে এবং জমাকৃত অর্থ ফেরতযোগ্য হবে না’। নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় প্রথমেই একটি প্রত্যয়ন পাতা আসবে; যেখানে লেখা থাকবে—‘এই মর্মে প্রত্যয়ন করছি যে আমি সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা রাষ্ট্রায়ত্ত কোনও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নই। সর্বজনীন পেনশন স্কিমবহির্ভূত কোনও ধরনের সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা গ্রহণ করি না। আমি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কোনও ধরনের ভাতা গ্রহণ করি না’। এই পাতার নিচের দিকে ‘আমি সম্মত আছি’ অংশে ক্লিক করলে দ্বিতীয় পাতায় গিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। এখানে আবেদনকারীকে প্রবাস, সমতা, সুরক্ষা বা প্রগতি—এই চার স্কিমের মধ্য থেকে প্রযোজ্য স্কিম বাছাই করতে হবে। একই সঙ্গে ১০, ১৩ বা ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, ইমেইল আইডি লিখে দিতে হবে। এরপর পাতার নিচের দিকে থাকা ক্যাপচা (তথ্যপ্রযুক্তিতে ব্যবহৃত বিশেষ একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেখানে একটি বিশেষ লেখা পড়ে টাইপ করে দিতে হয়) লিখে পরের পাতায় যেতে হবে। ক্যাপচা দেওয়ার পরে আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর ও ইমেইলে একটি ওটিপি বা একবার ব্যবহারযোগ্য গোপন নম্বর আসবে, যা ফরমে দিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়ার পরের ধাপে আসবে ব্যক্তিগত তথ্যের পাতা। এ পাতায় এলে ব্যক্তির এনআইডি অনুযায়ী এনআইডি নম্বর, ছবি, আবেদনকারীর বাংলা ও ইংরেজি নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে (যেহেতু আগের পাতায় এনআইডি নম্বরের মাধ্যমে এ তথ্যগুলো দেওয়া হয়েছে)। তবে এখানে আবেদনকারীর বার্ষিক আয় লিখতে হবে এবং পেশা, নিজ বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নাম নির্বাচন করতে হবে। পেশা বাছাইয়ের ঘরে শিক্ষক, বেসরকারি চাকরিজীবী, ছোট ব্যবসায়ী, ব্যবসা, দিনমজুর, আইনজীবী, সাংবাদিক ইত্যাদি পেশার উল্লেখ আছে। সেখান থেকে নিজের পেশা নির্বাচন করতে হবে। সব লেখা সম্পন্ন হলে পরের ‘স্কিম তথ্য’-এর পাতায় যেতে হবে। স্কিম তথ্যের পাতা এলে সেখান থেকে মাসিক চাঁদার পরিমাণ ও চাঁদা পরিশোধের ধরন বাছাই করতে হবে। চাঁদা পরিশোধের ধরনের মধ্যে মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক—এ তিন অপশন রয়েছে। এরপর ব্যাংক তথ্যের ধাপে যেতে হবে। ব্যাংক তথ্যের পাতায় আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবের নাম ও নম্বর, হিসাবের ধরন (সঞ্চয়ী অথবা চলতি), রাউটিং নম্বর, ব্যাংকের নাম (বাংলায়) ও ব্যাংকের শাখার নাম (ইংরেজিতে) লিখতে হবে। এরপর পরবর্তী নমিনি তথ্যের পাতায় যেতে হবে। নমিনি তথ্যের পাতায় গিয়ে নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে নমিনিকে যুক্ত করতে হবে। এখানে একাধিক নমিনিও যুক্ত করা যাবে। এ সময় নমিনির মোবাইল নম্বর, নমিনির সঙ্গে সম্পর্ক, নমিনির প্রাপ্যতার হারের (একাধিক নমিনি হলে) তথ্য দিয়ে সর্বশেষ ‘সম্পূর্ণ ফরম’ ধাপে যেতে হবে। এটিই নিবন্ধনের শেষ ধাপ। এ ধাপে আগে পূরণ করা ব্যক্তিগত তথ্য, স্কিম তথ্য, ব্যাংক তথ্য ও নমিনি তথ্য দেখানো হবে। সেখানে কোনও ভুল থাকলে আবার শুরুতে গিয়ে তথ্যের প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে। আর সব তথ্য ঠিক থাকলে তাতে সম্মতি দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এ সময় চাইলে সম্পূর্ণ আবেদনটি ডাউনলোডও করতে পারবেন আবেদনকারী। উল্লেখ্য, নিবন্ধনের পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে সব পাতার কাজ শেষ না করে পেছনে (ব্যাক) যাওয়া যাবে না। পেছনে গেলে সব প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করতে হবে। তবে সে ক্ষেত্রে পুরোনো তথ্যগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে; নতুন করে আর লিখতে হবে না। টাকা জমার হার পেনশন পেতে হলে নিরবচ্ছিন্ন অনন্ত ১০ বছর চাঁদা দিতে হবে। স্কিম ভেদে চাঁদা জমার হার ও পেনশন পাওয়ার হারে ভিন্নতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে মাসে সর্বোচ্চ ১০ হাজার থেকে সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা চাঁদা প্রদান করা যাবে। অবশ্য সমতা শ্রেণির এক হাজার টাকা চাঁদার মধ্যে ব্যক্তি দেবেন ৫০০ টাকা, আরও ৫০০ টাকা সরকার অনুদান হিসেবে দেবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ব্যক্তি যত সময় ধরে চাঁদা দেবেন, তুলনামূলকভাবে তত বেশি হারে মাসিক পেনশন মিলবে। এক্ষেত্রে স্কিম ভেদে মাসিক সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১ হাজার ৫৩০ টাকা পেনশন পাওয়া যাবে। চারটি স্কিম কী কী সরকার ঘোষিত চার ধরনের পেনশন কর্মসূচির মধ্যে প্রবাস ও প্রগতি স্কিমে তিন ধরনের, সুরক্ষা স্কিমে চার ধরনের আর দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানকারী নাগরিকদের সমতা স্কিমে এক ধরনের চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রত্যেক স্কিমেই নির্ধারিত সময়ে প্রদেয় নির্ধারিত চাঁদার বিপরীতে সমান পরিমাণ পেনশন মিলবে। অর্থাৎ প্রবাস, প্রগতি ও সুরক্ষা স্কিমে কেউ ৪২ বছর ধরে ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দিলে তাদের সকলেরই পেনশন হবে মাসে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা। প্রবাস স্কিমে মাসে ১০ হাজার, সাড়ে ৭ হাজার ও ৫ হাজার করে চাঁদা দেওয়া যাবে। প্রবাস কর্মসূচিতে ১৮ বছর বয়সী একজন প্রবাসী যদি মাসে ১০ হাজার টাকা করে জমা দেন, তবে ৪২ বছর পর (নিজের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হলে) তিনি মাসে পাবেন ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৫ টাকা করে। প্রবাসী একই হারে ১০ বছর চাঁদা দিলে মাসে পেনশন পাবেন ১৫ হাজার ৩০২ টাকা। প্রবাস কর্মসূচিতে ১৮ বছর বয়সী একজন প্রবাসী যদি মাসে ৫ হাজার টাকা করে জমা দেন, তবে ৪২ বছর পর (নিজের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হলে) তিনি মাসে পাবেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা করে। প্রবাসী একই হারে ১০ বছর চাঁদা দিলে মাসে পেনশন পাবেন ৭ হাজার ৬৫১ টাকা। প্রগতি স্কিমের (বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা) আওতাভুক্ত ১৮ বছর বয়সী বেসরকারি কোনও চাকরিজীবী যদি মাসে ৫ হাজার টাকা করে জমা দেন, তাহলে তিনি ৪২ বছর পর মাসে পাবেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা করে। একই হারে ১০ বছর চাঁদা দিলে মাসে পেনশন পাবেন ৭ হাজার ৬৫১ টাকা। সুরক্ষা স্কিমের (স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিক) আওতায়ও ১৮ বছর বয়সীরা কেউ যদি ৫ হাজার টাকা করে মাসে জমা দিয়ে পেনশনে যুক্ত হন, তাহলে ৪২ বছর শেষে তিনিও মাসে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা করে পাবেন। একই হারে ১০ বছর চাঁদা দিলে মাসে পেনশন পাবেন ৭ হাজার ৬৫১ টাকা। তবে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নির্ধারিত সমতা পেনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের মাসিক চাঁদার অর্ধেক দেবে সরকার। সমতা কর্মসূচিতে একজন অংশগ্রহণকারীকে মাসে দিতে হবে ৫০০ টাকা, এর বিপরীতে সরকার দেবে আরও ৫০০ টাকা। এভাবে কেউ যদি ৪২ বছর ১ হাজার টাকা করে জমা দেন, তাহলে মেয়াদ শেষে তিনি মাসে পেনশন পাবেন ৩৪ হাজার ৪৬৫ টাকা করে। একই হারে ১০ বছর চাঁদা দিলে মাসে পেনশন পাবেন ১ হাজার ৫৩০ টাকা। বিধিমালায় বলা হয়েছে, পেনশনের চাঁদা জমা দিতে হবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে। আর জমা দেওয়া যাবে অনলাইন ব্যাংক, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান এবং তফসিলি ব্যাংকের যেকোনও শাখার মাধ্যমে। কী কী কাগজ লাগবে পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থাকতে হবে। তবে যাদের এনআইডি নেই তারা সাময়িকভাবে পাসপোর্টের ভিত্তিতে নিবন্ধিত হতে পারবেন। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এনআইডি নিয়ে সরকারের কাছে জমা দিতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় যারা সুবিধা ভোগ করছেন, তারাও চাইলে পেনশনের আওতায় আসতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় তারা যে সুবিধা ভোগ করে থাকেন, তা তাদের বাদ দিতে হবে। প্রত্যেক আবেদনের বিপরীতে একটি ইউনিক আইডেনটিটি নম্বর (ইউআইডি) দেওয়া হবে। আবেদনে উল্লেখ থাকা আবেদনকারীর রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর এবং অনিবাসীদের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ইমেইলের মাধ্যমে ইউআইডি নম্বর, চাঁদার হার এবং মাসিক চাঁদা দেওয়ার তারিখ জানানো হবে। বিধিমালায় বলা হয়েছে, বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও যেকোনও ধরনের পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। তবে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের জন্য পেনশন কর্মসূচিটি কী হবে সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এদিকে বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অর্থমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারি কর্মচারীরাও এই পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। তবে তারা কোন ধরনের স্কিমের আওতাভুক্ত হবে সেটি এখনও জানানো হয়নি। পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের পেনশন স্কিমসহ যাবতীয় তথ্যাদি জানানো হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। কম জমায় কত ফেরত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে প্রদেয় চাঁদার অন্তত ২ দশমিক ৩ থেকে ১২ দশমিক ৩ গুণ পেনশন পাওয়া যাবে। মূলত চাঁদা প্রদানের সময়কালের ওপর নির্ভর করছে পেনশন প্রাপ্তির পরিমাণ। এ ক্ষেত্রে ৪২ বছর চাঁদা দিলে পেনশন পাওয়া যাবে প্রদেয় টাকার কমপক্ষে ১২ দশমিক ৩০ গুণ। অপরদিকে ১০ বছর চাঁদা দিলে তা হবে দুই দশমিক ৩০ গুণ। অর্থাৎ যত বেশি সময় ধরে চাঁদা জমা করা হবে, তত বেশি হারে পেনশন মিলবে। এর বাইরে পেনশনার বেশি দিন জীবিত থাকলে এ হার আরও বাড়বে। কোনও ব্যক্তি ১০ থেকে ৪২ বছর পর্যন্ত চাঁদা দিলে বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর থেকে মাসে পেনশন পেতে শুরু করবেন। তিনি আমৃত্যু পেনশন পাবেন। পেনশন চলাকালে ব্যক্তির বয়স ৭৫ বছর পূর্ণ না হওয়ার আগে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে বাকি সময়ের জন্য তার নমিনি বা উত্তরাধিকারীরা পেনশন পাবেন। অর্থাৎ ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর থেকে ৭৫ বছর সময়কাল হতে যত মাস সময় বাকি থাকবে তত মাস তারা পেনশন পেতে থাকবেন। এ ক্ষেত্রে পেনশনার মারা গেলেও টানা ১৫ বছর সরকারকে পেনশন প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে। ফলে সবাই কমপক্ষে টানা ১৫ বছর ধরে পেনশন পাবেন এটা স্পষ্ট। মাসে ১০ হাজার হারে ১০ বছরে চাঁদা দিতে হবে ১২ লাখ টাকা। এর বিপরীতে ১৫ বছর পেনশন প্রাপ্তি ধরলে তার পরিমাণ আসে ২৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ টাকা। একইভাবে ১০ হাজার টাকার স্কিমে ১৫ বছরে ১৮ লাখ টাকা দিলে পেনশন আসবে কমপক্ষে ৫৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯২০ টাকা (২.৮৯ গুণ)। ২০ বছরে ২৪ লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে পেনশন আসবে ৮৮ লাখ ৬৮ হাজার ২৪০ টাকা (৩.৭০ গুণ)। ২৫ বছরে ৩০ লাখ টাকা চাঁদায় পেনশন আসবে এক কোটি ৪৩ লাখ ২ হাজার ২৪০ টাকা (৪.৭৭ গুণ)। ৩০ বছরে ৩৬ লাখ টাকা চাঁদায় পেনশন আসবে দুই কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ টাকা (৬.২৩ গুণ)। ৩৫ বছরে ৪২ লাখ টাকা চাঁদা দিলে কমপক্ষে পেনশন আসবে তিন কোটি ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা (৮.২২ গুণ) এবং ৪০ বছরে ৪৮ লাখ টাকা চাঁদায় পেনশন মিলবে ৫ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার ৩৫০ টাকা (১০.৯৫ গুণ)। প্রবাস ছাড়াও অন্যান্য স্কিমের চাঁদার পরিমাণ ও সময়কালের ব্যবধানে সমহারে পেনশন পাওয়া যাবে।