ঢাকাবুধবার , ১৭ জুলাই ২০২৪
  • অন্যান্য

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের আন্দোলনে কার্গোজট শাহজালাল বিমানবন্দরে!

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ১৭, ২০২৪ ২:৪৬ অপরাহ্ণ । ৪৩ জন

ভয়াবহ কার্গোজটে পড়তে যাচ্ছে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্টদের লাগাতার কর্মবিরতি কর্মসূচিতে এ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এক্সপ্রেস পদ্ধতিতে পণ্য খালাসে এসআরও-২০৭ আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমদানি-রফতানিতে তারা কোনও কার্গো হ্যান্ডলিং করবেন না বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন।

গত তিন দিন ধরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কুরিয়ার বিভাগের সামনের চিত্র বরাবরের তুলনায় আলাদা। চোখে পড়ে না এজেন্টদের পণ্য খালাসের তোড়জোড়। করিডোরে ঘুরে ফিরে সময় পার করছেন দু-একজন।

রোববার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের দেয়া লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণার পর থেকেই কুরিয়ার বিভাগের এ অবস্থা। এ ব্যাপারে তাদের স্পষ্ট বার্তা, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোনও কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ে যুক্ত হবেন না তারা।

এজেন্টদের একজন বলেন, ‘কর্মবিরতি আন্দোলনের মাধ্যমে ঢাকা কাস্টমস হাউজ সম্পূর্ণরূপে অচল করে দেয়া হয়েছে। এ অবস্থা ততক্ষণ থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত এসআরও-২০৭ আইন বাতিল করা হবে।’

এদিকে, কার্গো ভিলেজের ভেতরে পণ্যজটের খোঁজ় নিতে গেলে অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ সময় খোঁজ মেলেনি বিমানবন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও। তবে কর্মকর্তাদের কেউ কেউ নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বীকার করেছেন কার্গোজটের কথা।

এদিকে, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের এ কর্মবিরতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আমদানি ও রফতানিকারকরা। এ অবস্থায় পরিস্থিতি ঘোলাটে করে বড় অংকের মাশুল গোনার আগেই সমস্যা সমাধানে এনবিআর ও সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, এ আন্দোলনের ফলে দেশের সুনাম নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে। আর তাছাড়া রাজস্বের ক্ষতি তো রয়েছেই। তাই যত দ্রুত সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান করা প্রয়োজন।

ঢাকা কাস্টমস হাউজের মাধ্যমে প্রতিদিন রাজস্ব আয় হয় প্রায় ৬০ লাখ টাকা। সে হিসেবে গত তিনদিনে এক কোটি ২০ লাখ টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার।