ঢাকাশনিবার , ২ নভেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

সিগারেট কোম্পানিগুলো ফাঁকি দিচ্ছে ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২, ২০২৪ ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ । ৮৮ জন

মেডিকেল স্টুডেন্ট সোসাইটি এক বিবৃতিতে বলেন, সিগারেট কোম্পানিগুলো বিভিন্ন কৌশলে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার মাধ্যমে সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুসারে তারা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে সিগারেট বিক্রি না করে ফাঁকি দিচ্ছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব।

সিগারেট কোম্পানির প্রচারের নিন্দা জানিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সংগঠনটির সভাপতি আসাদুর রহমান নবীন গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা আরও লক্ষ্য করেছি যে, তামাক কোম্পানিগুলো প্রচার করছে আইন প্রণয়ন বা শক্তিশালী করা হলে সরকারের রাজস্ব কমে যায়। প্রকৃতপক্ষে ২০০৫ সালে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়ন এবং ২০১৩ সালে আইন সংশোধন হবার পর এসময়ে তামাক হতে রাজস্ব প্রায় ১১গুন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তামাকের ব্যবহারও কমে এসেছে। সুতরাং এটি প্রমাণিত যে, আইন প্রণয়ন করা হলে তামাকের ব্যবহার কমে কিন্তু সরকারের রাজস্ব কোনভাবেই কমে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা চিকিৎসক ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের বিরোধীতার সাথে সাথে, সিগারেট কোম্পানিগুলো ই-সিগারেট, ভেপিং নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে জোর প্রচার চালাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মকে নেশাগ্রস্ত করতে ই-সিগারেট, ভেপিং এগুলো এক ধরনের অস্ত্র। দেশের শিশু, কিশোর, তরুণদের ধূমপানে আকৃষ্ট করতে তামাক কোম্পানি রেস্টুরেন্টে তৈরি করছে ধূমপানের স্থান। ভেপিং বা ই-সিগারেট (বাংলাদেশে এখনো সেভাবে যার ব্যবহার নেই) ব্যবহারের জন্য তৈরি করেছে ভেপিং মেলা। সিগারেট কোম্পানি ব্যবসার জন্য অর্থনীতির নামে হাজার কিশোর তরুণদের স্বাস্থ্য ধ্বংসের খেলায় লিপ্ত। বাংলাদের প্রায় ৪৯ শতাংশ জনগোষ্ঠী তরুণ। শিশু-কিশোর ও তরুণ প্রজন্মের রক্ষায় এখনই আইনী বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে ই-সিগারেট আমদানি, রপ্তানি, পরিবহন, বিক্রয়, বিতরণ, সংরক্ষণ, এবং বিজ্ঞাপণ নিষিদ্ধ করা উচিত।’

সংগঠনটি বলছে, ‘দেশের ৭০ শতাংশ মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক রোগ। অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান কারণ তামাক। সিগারেট সেবনের কারণে দেশে প্রতিবছর অকালে প্রাণ হারায় ১ লাখ ৬৫ হাজার মানুষ। এমতাবস্থায় নতুন বাংলাদেশ গড়ার যাত্রায় জনস্বাস্থ্য রক্ষায় চেষ্টাকে অব্যহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরী। চিকিৎসক ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে সিগারেট কোম্পানিগুলোর উপর উচ্চ হারে অধিক কর আরোপের মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে যুব সমাজকে রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’