২০২৩-২৪ অর্থবছরে সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সংসদ সদস্যবৃন্দ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাশের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ জাতীয় সংসদের এলডি হলে বাংলাদেশ সফররত গ্যাভি মিশনের সদস্যদের সাথে ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং’ সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তারা এ সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সভায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরামের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি বলেন, “তামাক দেশের জন্য একটি বড় হুমকি যা একসাথে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতি দুইটারই ক্ষতি করে। তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমে আসবে বলে আশা করি। তবে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশ করলে দেশের অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্য রক্ষার পথ সুগম হবে।
সভায় জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ফোরামের নানান সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত এমপি। এর মধ্যে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ১৫৩ জন সংসদ সদস্যের চিঠি, তামাক আইন সংশোধনের দাবিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট ১৫২ জন সংসদ সদস্যের চিঠি, সর্বশেষ জাতীয় বাজেটে তামাকের উপর কর বৃদ্ধির সুপারিশ জানিয়ে অর্থমন্ত্রীর নিকট ৮৬ সংসদ সদস্যের চিঠি দেয়া, এবং বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচিতে গ্যাভির অর্থায়নের মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধির সুপারিশ উল্লেখযোগ্য।
তিনি আরও বলেন,“তামাকের উপর যুক্তিযুক্ত কর ও মূল্য বৃদ্ধির ফলে প্রায় ১০ লাখ তরুণকে ধূমপান শুরু করা থেকে বিরত রাখা যাবে এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়াও বাড়তি ৯,৬০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে যা বর্তমানে প্রাপ্ত রাজস্বের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি।”