ধানের ভালো ফলন ও উদ্বৃত্ত মজুতের অনুমানের ভিত্তিতে সিদ্ধ চালের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম চাল রফতানিকারক দেশ ভারত। এছাড়া, তুষের বাদামি চাল এবং চাল ও ধানের ওপর ১০ শতাংশ রফতানি শুল্কও বাতিল করা হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) ভারত সরকারের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) একটি অফিশিয়াল আদেশের মাধ্যমে সিদ্ধ চালের ওপর থেকে রফতানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে ভারত। দেশটিতে ধানের ভালো ফলন ও উদ্বৃত্ত মজুতের অনুমানের ভিত্তিতে সিদ্ধ চালের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নেয়া হয়েছে। এছাড়া, তুষের বাদামি চাল এবং চাল ও ধানের ওপর ১০ শতাংশ রফতানি শুল্কও বাতিল করা হয়েছে।
দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প কর্মকর্তারা বলেন, রফতানি শুল্ক প্রত্যাহারের ফলে বিশ্বব্যাপী বাড়বে চালের সরবরাহ। এটি অন্যান্য রফতানিকারক দেশকেও শুল্ক কমাতে বাধ্য করার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে চালের দাম কমাতে প্রভাব ফেলবে।
ভারতীয় চাল রফতানিকারক ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেব গর্গ জানান, সিদ্ধ চালের ওপর রফতানি কর অপসারণের সিদ্ধান্ত সঠিক। এটি নতুন মৌসুমের ফসলের উৎপাদন সম্পর্কে সরকারের আস্থার ইঙ্গিত দেয়। আর চাল ভারতীয় রফতানিকারক সমিতির সভাপতি বিভি কৃষ্ণা রাও বলেন, সিদ্ধ চালের ওপর রফতানি কর অপসারণ করেছে সরকার। এটি আফ্রিকান ক্রেতাদের ভারত থেকে কেনাকাটা বাড়াতে উৎসাহিত করবে।
এর আগে, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই বিশ্ববাজারে চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। সে সময় দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। তবে প্রায় ১৪ মাস পর গত মাসের শেষদিকে সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। সে সঙ্গে রফতানি শুল্কও কমানো হয়। সে সময় সিদ্ধ চালের রফতানি শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত সরকার।
মূলত আফ্রিকার দেশগুলোসহ সারা বিশ্বেই চালের রফতানি বাড়াতে চায় দেশটি। সে সময় ভারত বাসমতি ছাড়া অন্যান্য সাদা চাল পুনরায় রফতানি শুরু করার অনুমতি দিয়েছে। এজন্য প্রতি টনের প্রান্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৯০ ডলার।