ঢাকাবুধবার , ১২ জুন ২০২৪
  • অন্যান্য

হাটের বর্জ্য ও কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য পৃথক ব্যবস্থাপনায় অপসারণ করা হবে : মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১২, ২০২৪ ১১:২০ পূর্বাহ্ণ । ১০১ জন

কোরবানির পশুর হাটের বর্জ্য ও কোরবানির জবাইকৃত পশুর বর্জ্য এবার আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনায় অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

গতকাল (১১ জুন) মঙ্গলবার বিকালে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে এক সমন্বয় সভায় মেয়র একথা বলেন। করপোরেশনের কাউন্সিলর, অন্তর্বতীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (পিসিএসপি) প্রতিনিধিবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য ও অস্থায়ী পশুর হাটের বর্জ্য দ্রুততম সময়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আগেকার বছরগুলোতে আপনাদেরকে ওয়ার্ডভিত্তিক কোরবানির পশুর বর্জ্য ও হাটের বর্জ্য একইসাথে অপসারণ করা হতো। দেখা যেতো, একই যান-যন্ত্রপাতি ও জনবল দুই জায়গাতেই কাজ করছে। কিন্তু বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে এবার আমরা নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। এবার আপনাদেরকে আর হাটের বর্জ্য নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আপনারা শুধু ওয়ার্ড ভিত্তিক বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করবেন। প্রতিটি হাটের জন্য আমরা আলাদা আলাদা জনবল ও যান-যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করেছি।

ঈদের ২য় দিনের মধ্যে কোরবানির কার্যক্রম শেষ করতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমরা ঢাকাবাসীকে ঈদের ২য় দিনের মধ্যে কোরবানির পশু জবাই কার্যক্রম শেষ করার আহবান জানিয়েছি। সে প্রেক্ষিতে আগের তুলনায় জনগণ এখন অনেকটাই উদ্বুদ্ধ হয়েছে, সচেতন হয়েছে। ঈদের ৩য় দিনে আগে যে পরিমাণ পশু কোরবানি দেওয়া হতো এখন তা অনেক কমে গিয়েছে। তাই ২ দিনের মধ্যে কোরবানি কার্যক্রম শেষ করতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার এই আহবান অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ, কোরবানির ঈদে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঈদের আগের রাত থেকেই বর্জ্য অপসারণে কাজ শুরু করে এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে এই কাজ চলমান থাকে। আমাদের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সকলের ঈদ উদযাপন এবং তাদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে।

প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন। এ সময় কাউন্সিলরবৃন্দ ও পিসিএসপি প্রতিনিধিবর্গ তাদের মতামত তুলে ধরেন।

সমন্বয় সভায় করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।