ঢাকারবিবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • অন্যান্য

হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে জিরো টলারেন্সে থাকব – স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪ ৩:২৬ অপরাহ্ণ । ১৩৫ জন

হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে জিরো টলারেন্সে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।  তিনি বলেছেন, দেশব্যাপী স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সাম্প্রতিক কিছু ইস্যু নিয়ে কথা হচ্ছে। ঘটনাগুলো যেকোনো মানুষের মনকেই নাড়া দেবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আমাকে শক্তহাতে উদ্যোগ নিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স মেইনটেইন করতে বলেছেন। আমি দ্ব্যার্থহীনভাবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে চলবো।

আজ রবিবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়াদির উপর মিডিয়া ব্রিফ্রিংকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা সামন্ত লাল সেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরোও বলেন, আমি পরিস্কারভাবে বলতে চাই, বৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল/ক্লিনিক/ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো আমরা বন্ধ করতে চাই না, তবে এগুলো চালাতে হলে যতগুলো চিকিৎসক, নার্স প্রয়োজন তা থাকতে হবে; যা যা যন্ত্রপাতি থাকার কথা সেগুলো থাকা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা করা না হলে, আমি কঠোর ব্যবস্থা নিতে জিরো টলারেন্স মেইনটেইন করবো। কোন অনুরোধ বা তদবিরেই এ সকল অবৈধ বা যন্ত্রপাতিহীন ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টার সচল রাখা হবে না। আমরা এক মাসে প্রায় ১২২৭টি অবৈধ ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছি, এখনও অভিযান চলমান আছে। এর সাথে আরো বলে রাখি, বৈধ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত লোকবল ও যন্ত্রপাতি না থাকলে সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্রিফ্রিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিডিয়াকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদানকালে জানান, “আমি রোগীদের সুরক্ষা নিয়ে যেভাবে ভাবছি, একইভাবে আমি চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিয়েও কাজ করছি। ভালো সেবা পেতে হলে ভালো চিকিৎসক লাগবে। ভালো সুযোগ-সবিধা না পেলে ভালো চিকিৎসক পাওয়াও মুশকিল হবে।”

ব্রিফ্রিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অতীতে কী কী হয়েছে সেগুলো নিয়ে না ভেবে এখন থেকে কী কী করা হচ্ছে সেদিকে বেশি মনোযোগ দিতে মিডিয়া কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান। স্বাস্থ্যসেবার সঠিক মান একা কেউই শতভাগ ঠিক করতে পারবে না। এজন্য দায়িত্ব কেবল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার নয়: স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নততর করতে চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিকসহ প্রত্যেককেই এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

এর আগে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতাল/ক্লিনিক সেবা শাখার সাথে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও কর্মকর্তাদের সাথে আলাদা করে একটি বৈঠক করেন।

এসময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বিএমডিসি সভাপতি অধ্যাপক ডা মাহমুদুল হাসান, বিএসএমএমইউ এর এনেস্থেসিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর দেবব্রত বণিক, ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের এনেস্থিসিওলজি বিভাগের প্রধানগণ সহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।