শরীরকে সুস্থ আর কর্মক্ষম রাখতে দরকার পুষ্টিকর খাবার। খাবারে পুষ্টির অভাব হলে প্রভাব পড়তে থাকে শরীরে। আর এ অভাব দীর্ঘমেয়াদী হলে ধীরে ধীরে শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে।
হার্ট বা হৃদপিণ্ড আমাদের শরীরের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এক অঙ্গ। হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকলে জন্ম নিতে পারে নানা ধরনের রোগ, এমনকী মৃত্যু-ঝুঁকির পরিমাণও বাড়তে থাকে।
তাই জেনে রাখা দরকার হৃদপিণ্ড ভালো রাখার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে।
১. পটাসিয়াম
গবেষণায় দেখা গেছে যে শরীরে পটাসিয়ামের অভাব হলে তা হৃদপিণ্ডের পেশীকে দুর্বল করে ফেলে এবং এর ফলে হৃদ-স্পন্দনে অস্বাভাবিকতা ঘটতে থাকে। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে আলু, কলা, অ্যাভোকাডো, রোদে শুকানো টমেটো, দুধ, রাজমা ডাল, স্যামন এবং টুনা মাছ।
১. ম্যাগনেসিয়াম
ম্যাগনেসিয়ামের অভাবের সাথে উচ্চ রক্তচাপের সম্পর্ক রয়েছে। আর উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের জন্যে বড় ঝুঁকিপূর্ণ। সবুজ শাক, স্যামন, অ্যাভোকাডো, কলা, লো ফ্যাট দই, বাদাম এবং বিভিন্ন ধরনের বীজ হলো ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার।
৩. ক্যালসিয়াম
ক্যালসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কম ক্যালসিয়ামের মাত্রা রক্তচাপ বাড়াতে পারে, যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হৃদপিণ্ড (এবং হাড়ের জন্যেও) উপকারী হলো দই, দুধ, ফোর্টিফাইড সিরিয়াল এবং সয়াবিন।
৪. ভিটামিন ডি
অপর্যাপ্ত ভিটামিন ডি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও ভিটামিন ডি শরীরের খাদ্যে থাকা ক্যালসিয়ামের ব্যবহারকে সহজতর করে। ডিমের কুসুম, স্যামন, টুনা, এবং ফোর্টিফাইড কমলার রসের মতো খাবার ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি মিলবে সূর্যের আলোতে। তাই প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা রোদে থাকার অভ্যাস করা দরকার।
৫. ভিটামিন বি
এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বেশি ফোলেট এবং ভিটামিন বি-৬ গ্রহণ করেছে তাদের স্ট্রোক এবং হার্ট ফেইলিওরজনিত মৃত্যুর ঝুঁকি কম ছিল। ভিটামিন বি-৬, বি-১২ এবং বি-৯ হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। বি ভিটামিন আমাদের শরীরে নতুন লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে সহায়তা করে, যা টিস্যু এবং বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ করে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
এসব পুষ্টি উপাদান পূরণে সাপ্লিমেন্ট ওষুধ খাওয়া যায়। তবে সেটা করতে হবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে।