বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি), স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ (১১ জুন, ২০২৩) সকাল ১১:০০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মূল আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক, এমপি। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জনাব মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এর সভাপতিত্বে পরিচালিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জনাব মোঃ সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য); মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনটিসিসি’র সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জনাব হোসেন আলী খোন্দকার। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বারদান জং রানা প্রমুখ। বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে প্রসংশনীয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ বছর ৯টি ক্যাটাগরি-তে সর্বমোট ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি-কে তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা ২০২৩ প্রদান করা হয়।
জাতীয় সম্মাননা প্রাপ্ত ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান:
‘সরকারি প্রতিষ্ঠান’ ক্যাটাগরি-তে রেলপথ মন্ত্রণালয়, ‘জেলা টাস্কফোর্স কমিটি’ ক্যাটাগরি-তে খুলনা টাস্কফোর্স কমিটি, ‘উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি’ ক্যাটাগরি-তে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি, ‘শ্রেষ্ঠ মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী কর্মকর্তা’ ক্যাটাগরি-তে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব রাকিবুল ইসলাম, কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ ক্যাটাগরি-তে যথাক্রমে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জনাব তারিকুল ইসলাম ও জনাব মোঃ আল আমিন রহমান, ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরি-তে ঝিনাইদহ পৌরসভা, ‘বেসরকারি সংস্থা’ ক্যাটাগরি-তে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং, ‘সাংবাদিক (প্রিন্ট মিডিয়া)’ ক্যাটাগরি-তে বাংলাদেশ পোস্ট এর সাংবাদিক এহসানুল হক জসীম এবং ‘সাংবাদিক (ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া)’ ক্যাটাগরি-তে একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা ২০২৩ অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’ প্রতিপাদ্যে গত ৩১ মে ২০২৩ তারিখে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় শোভাযাত্রা, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রী, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব-এঁর পৃথক পৃথক বাণীসহ বিশেষ ক্রোড়পত্র বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, এছাড়া পোস্টার প্রকাশ, গুরুত্বপূর্ণ সড়কদ্বীপ সজ্জ্বাসহ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম পালন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের পরিচালকবৃন্দ, ঢাকা সিভিল সার্জন অফিস,নার্স/মিডওয়াইফ, বাংলাদেশ স্কাউটস্, গার্ল গাইডস্ এবং তামাক বিরোধী বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিসহ প্রায় ০৭ শতাধিক মানুষ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।