ঢাকারবিবার , ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • অন্যান্য

২৬টি কূপ খননে সরকারের উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানে বিলম্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ২০, ২০২৪ ১২:৩১ অপরাহ্ণ । ১৯ জন

দেশে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন উপকূলীয় গ্যাসক্ষেত্র জুড়ে ২৬টি কূপ খননের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। এই উদ্যোগ আরও এক মাস বিলম্বিত হবে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। মূলত দরপত্র সংক্রান্ত নথিপত্র তৈরি নিয়েই এই বিলম্ব সৃষ্টি হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ খনিজ, তেল ও গ্যাস করপোরেশনের অধীনে তিনটি গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনকারী কোম্পানি (সাধারণত পেট্রোবাংলা নামে পরিচিত) সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল), বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করার কথা ছিল। কিন্তু সংবাদপত্র ও সংশ্লিষ্ট সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য দরপত্রের নথিপত্র চূড়ান্ত না হওয়ায় কোম্পানিগুলো দরপত্র আহ্বান করতে পারেনি।

এর আগে গত ৩ অক্টোবর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে এক সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ঘোষণা দেন, প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সবুজ সংকেত পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে আশা করছেন তারা। একই সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে সরকার শিগগিরই বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রে ২৬টি কূপ খননের জন্য একটি উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করবে বলে আশ্বাস দেন। সরকার জি-টু-জি ভিত্তিতে চুক্তি বা বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে অযাচিত চুক্তি করা থেকে বিরত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, এই উদ্যোগের লক্ষ্য বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে আমদানি করা ব্যয়বহুল এলএনজির ওপর নির্ভরতা কমানো।

দরপত্র আহ্বানে বিলম্বের বিষয়ে ফাওজুল কবির বলেন, দরপত্র তৈরিতে তার মন্ত্রণালয় একজন দরপত্র ক্রয় বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিচ্ছে এজন্য কিছুটা বেশি সময় লাগছে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ঐতিহাসিকভাবে দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ এর আওতায় একই ধরনের চুক্তির দলিল তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এবার উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করতে হলে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) ২০০৮ মেনে চলতে হবে তাই বিলম্ব হচ্ছে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড এক সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র জারি করতে পারে। অন্যদিকে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের পুরো মাস লাগতে পারে।

গত ৩ অক্টোবরের সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি উপদেষ্টা ২০২৫ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০টি কূপ খননের সরকারি পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। এর মধ্যে ৬৯টি অনুসন্ধান ও উন্নয়ন কূপ এবং বাকি ৩১টি কূপ হবে ওয়ার্ক-ওভার ওয়েল। বাপেক্স ৬৯টি অনুসন্ধান কূপের মধ্যে ৪৩টি এবং বাকি ২৬টি কূপ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদারদের মাধ্যমে খনন করবে।

বাপেক্স নিজস্ব রিগ ব্যবহার করে বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্র জুড়ে ৩৩টি কূপ খনন করবে এবং ভাড়া করা রিগ ব্যবহার করে আরও ১০টি কূপ খনন করা হবে।

উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বাপেক্সের সক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগানো।