চলতি অর্থবছরের জন্য সৌদিআরব, মরক্কো ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে এক লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৭৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির ৬ষ্ঠ বৈঠকে এ প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, আজ ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির ৬ষ্ঠ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের জ্বালানি ও সারের চাহিদা মেটাতে আজকে কিছু প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠকে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া, ৪০ হাজার টন ডিএপি এবং ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সৌদি আরবের কৃষি পুষ্টি কোম্পানি সাবিক ২য় লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১২৪ কোটি ৬৭ লাখ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৪৬.৩৩ মার্কিন ডলার।
এছাড়া ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) বাংলাদেশের কাছ থেকে ৪র্থ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৩৫.৫০ মার্কিন ডলার।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ওসিপি এস. এ মরক্কো এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ওসিপি এস. এ মরক্কো থেকে ৬ষ্ঠ লটের ৩০ মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৪১৫.০০ মার্কিন ডলার।
আর রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদিআরবের মা আদেন এবং বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ১০ম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৭৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৫৮১.০০ মার্কিন ডলার।
এছাড়া সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১ম প্যাকেজের লট-০২ (নেত্রকোণা (১০০০০ মে.টন), ময়মনসিংহ (২৫০০০ মে.টন))-এর ২টি সাইটের নির্মাণ কাজসমূহ উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি (ওটিএম)-তে বাস্তবায়নের জন্য ক্রয়ের প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে।