ঢাকারবিবার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

জলবায়ু সম্মেলন

অবশেষে বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলার পাবে দরিদ্র দেশগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ । ৬৫ জন

জলবায়ু সংকটের ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোকে বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলার সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি ধনী দেশ। রোববার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোরে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে সম্মেলনের শেষ মুহূতে এ অর্থায়নের বিষয়ে একমত হন প্রায় ২০০টি দেশের প্রতিনিধিরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোকে প্রতিবছর এই সহায়তা দেবে পরিবেশ দূষণকারী ধনী দেশ। ২০৩৫ সাল পর্যন্ত এ অর্থ দেয়া হবে।

জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন ‘কনফারেন্স অব পার্টিজ-কপ’ নামে পরিচিত। এবার কপের ২৯তম আসর শুরু হয় ১১ নভেম্বর। শেষ হওয়ার কথা ছিল গত শুক্রবার। তবে জলবায়ু তহবিলে অর্থায়নের বিষয়ে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় তা একদিন বাড়ানো হয়। অবশেষে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা শেষে শেষ মুহূর্তে একমত হয় কপের সদস্য দেশগুলো।

চূড়ান্ত চুক্তি অনুযায়ী, ২০৩৫ সাল পর্যন্ত দরিদ্র দেশগুলোকে প্রতিবছর অন্তত ৩০০ বিলিয়ন ডলার দেবে উন্নত দেশগুলো। জলবায়ু তহবিলে জমা দেয়া এই অর্থ দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনীতিকে আরও পরিবেশবান্ধব করতে এবং দেশগুলোয় জলবায়ু সংকটের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় খরচ করা হবে। বর্তমানে এই তহবিলে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার জমা দিচ্ছে ধনী দেশগুলো।

এছাড়া কার্বন নিঃসরণ কমানো-সংক্রান্ত একটি চুক্তিতেও আসে ঐকমত্য। চুক্তিতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে একটি বৈশ্বিক বাজার তৈরিতে সমঝোতা হয়। ওই বাজারে ‘কার্বন ক্রেডিট’ কেনাবেচা করতে পারবে দেশগুলো।

চুক্তি অনুযায়ী, বৃক্ষরোপণ এবং বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো নানা প্রকল্প হাতে নেবে দরিদ্র দেশগুলো। এভাবে প্রতি এক টন কার্বন ডাই-অক্সাইড বা গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর বিনিময়ে একটি ‘কার্বন ক্রেডিট’ পাবে তারা। প্রায় এক দশক ধরে ‘কার্বন ক্রেডিটের’ বাজার গড়ে তোলা নিয়ে আলোচনা চলছিল।

এর আগে গত শুক্রবার খসড়া চুক্তিতে বছরে ২৫০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তবে ওই প্রস্তাব নাকচ করে দেয় দরিদ্র দেশগুলো। বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর দাবি ছিল তাদের জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি পোষাতে বছরে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৩০ হাজার কোটি) ডলার দিতে হবে। পরে বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলার দিতে রাজি হয় ধনী দেশগুলো।