ঢাকাশনিবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়া দুই যুবকের লাশ উদ্ধার

পাবলিক হেলথ ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩ ৮:০৫ অপরাহ্ণ । ৪৮৬ জন

কাজের আশায় অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় নিখোঁজ দুই যুবকের মরদেহ আজ শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্ত থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খাড়ির পানিতে লাশ দুটি ভাসতে দেখে স্থানীয় জেলেরা গ্রামে খবর দেন। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

এরা হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চর কানাপাড়া গ্রামের আতিকুল ইসলামের ছেলে মোশাররফ হোসেন মুশা (১৯) ও একই গ্রামের মো. শুকুদ্দীর ছেলে কাওসার আলী (১৮)। দুজনের চোখে-মুখে রক্ত লেগেছিল।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন জানিয়েছেন, ‘১৯ ডিসেম্বর একই গ্রামের ছয়-সাত জন যুবক কাজের জন্য ভারতের চেন্নাই যেতে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেন। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে কাওসার ও মোশাররফ ছাড়া বাকিরা গ্রামে ফিরে আসেন। ওই দুই জন নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার সকালে দুই দেশের ভেতর দিয়ে যাওয়া পদ্মার একটি নালায় তাদের লাশ পাওয়া যায়। এই এলাকার নাম চর হনুমন্তনগর। যেখানে লাশ ভাসছিল সেই স্থানটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে প্রায় এক কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে।’

মারা যাওয়া দুই জনের চোখে-মুখে রক্ত লেগেছিল, তবে সুরতহালের সময় আঘাত কিংবা শরীরে অন্য কিছু বোঝা যায়নি উল্লেখ করে ওসি আবদুল মতিন আরো বলেন, ‘তাদের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি। যারা ধাওয়া খেয়ে গ্রামে ফিরেছেন, তারাও দুই জনের মৃত্যুর ব্যাপারে কিছু বলতে পারছেন না। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মতিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুই দিন আগে দুই তরুণের পরিবার তাদের নিখোঁজ থাকার বিষয়টি বিজিবিকে জানিয়েছিল। এরপর বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বিএসএফ তাদের বিষয়ে কিছু জানে না বলে বিজিবির কাছে দাবি করেছিল। আজ শনিবার সকালে দুই তরুণের লাশ উদ্ধারের কথা তিনি শুনেছেন।