ব্রাজিলে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অ্যামাজনে বন উজাড় এক তৃতীয়াংশ কমেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার মেয়াদের প্রথম ছয় মাসেই এ সাফল্য এসেছে বলে দাবি করছে দেশটির সরকার। দেশটি জানিয়েছে, গতবছরের তুলনায় বন উজাড় কমার হার ৩৩.৬ শতাংশ বা এক-তৃতীয়াংশ।
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ জানুয়ারি-জুন মাসে রেইনফরেস্ট সংকুচিত হয়েছে দুই হাজার ৬৪৯ বর্গ কিলোমিটার। জাইর বোলসোনারোর শাসনামলে একই সময়ে ধ্বংস হয় তিন হাজার ৯৮৮ বর্গ কিলোমিটার। ইতোমধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট লুলা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় বা গাছ কাটার ছাড়পত্র দেয়া বন্ধ করে দেয়া হবে।
অ্যামাজনকে ‘বিশ্বের ফুসফুস’ বলে অভিহিত করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে এই জঙ্গলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্পেস রিসার্চ (ইনপে) নতুন স্যাটেলাইট তথ্য উপস্থাপন করে। সেখানেও ইতিবাচক পরিবর্তন উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে দেশটির পরিবেশমন্ত্রী মেরিনা সিলভা বলেন, আমরা অ্যামাজনের বন উজাড়ের প্রবণতা কমিয়ে এনেছি।
ইনপে জানিয়েছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় জুন মাসে বন উজাড় রেকর্ড ৪১ শতাংশ হারে কমে এসেছে।
লুলা পূর্বসুরী জাইর বোলসোনার বিভিন্ন নীতি পাল্টানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেন। এর মধ্যে রয়েছে অ্যামাজনে আদিবাসী জমি খনির জন্য ব্যবহার। লুলা ছয়টি নতুন এলাকায় খনির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পাশাপাশি বাণিজ্যিক চাষাবাদ সীমাবদ্ধ করেন।
অবশ্য পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বন উজাড় কমার পর দাবানল বেড়ে গেছে। স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণ শুধু গত মাসেই অ্যামাজনে তিন হাজার ৭৫টি দাবানল শনাক্ত হয়েছে। যা ২০০৭ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যা।
সূত্র : বিবিসি।