ঢাকারবিবার , ২০ আগস্ট ২০২৩
  • অন্যান্য

ই-সিগারেট ও তামাক যুব সমাজকে ধ্বংস করছে : ডেপুটি স্পীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ২০, ২০২৩ ১০:৩৫ অপরাহ্ণ । ১৭২৭ জন

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু, এমপি বলেন, ধুমপান ই-সিগারেটের মাধ্যমেই হোক অথবা বিড়ি ও সিগারেটের মাধ্যমেই হোক, এটি সর্বাবস্থায় মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক। ই-সিগারেট ও তামাক যুব সমাজকে ধ্বংস করছে।

আজ (রবিবার) জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস্ ক্লাবের সভাকক্ষে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি) আয়োজিত “ই-সিগারেট: মিথ ও বাস্তবতা” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পীকার এসব কথা বলেন।

টিসিআরসি এর প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, এমপি এর সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী আ.ফ.ম. রুহুল হক এমপি, রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, এ্যাডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, এ্যাডভোকেট আদিবা আনজুম মিতা এমপি। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) এর সমন্বয়কারী ও অতিরিক্ত সচিব মোঃ হোসেন আলী খোন্দকার, বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি রখফার সুলতানা। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ. ফ. ম. রুহুল হক ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

ডেপুটি স্পীকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মাঝে দেশকে তামাক ও মাদকমুক্ত করতে চান। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তামাক ও ধুমপান নিরোধে আইনকে শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরী। একজন অধুমপায়ী ব্যক্তি যেন ধুমপানরত ব্যক্তিকে তাঁর সামনে ধুমপানে নিষেধ করতে পারেন, অধুমপায়ী ব্যক্তির বাধা দেয়ার এটুকু আইনি ভিত্তি থাকা প্রয়োজন। তামাকবিরোধী আইন সংশোধিত আকারে আসুক তা আমি মনে প্রাণে চাই।

মোঃ শামসুল হক টুকু, এমপি বলেন তরুণ সমাজ কী কী কারণে ই সিগারেট ও ধুমপানে আসক্ত হচ্ছেন, এ জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং এর প্রতিকার খুজে বের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাদক ও তামাকের ক্ষতিকারক দিকগুলো নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি বলেন, তামাক বিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তামাক বিরোধী আন্দোলন না থাকলে আরও ব্যাপকহারে মানুষ তামাকে আসক্ত হতো। তামাকের সাথে যুক্ত হয়েছে ই-সিগারেট। এইচএস কোডের মাধ্যমে ই-সিগারেট আনার সুযোগ দেয়া হয়েছে, অনতি বিলম্বে তা বন্ধ করা উচিত।

গোলটেবিল বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি) এর প্রকল্প পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক মোঃ বজলুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, টিসিআরসি এর প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারহানা জামান লিজা।

এছাড়াও সভায় একাত্তর টিভির সিনিয়র সাংবাদিক সুশান্ত সিনহা এবং শেয়ারবিজের সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।