ওবিসিটি (Obesity, বাংলায় মেদাধিক্য বা অতি-স্থূলতা) হলো শরীরের এক বিশেষ অবস্থা, যে অবস্থায় শরীরে অতিরিক্ত স্নেহ বা চর্বি-জাতীয় পদার্থ জমা হয় এবং স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। এর ফলে অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়ে এবং একইসাথে শারীরিক নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
যদিও ওজন বেড়ে যাওয়ার থেকে ওবেসিটি অনেকটাই আলাদা। ওজন বাড়লে সাধারণত শরীরে ফ্যাট বেশি জমে। কিন্তু ওবেসিটি হলে শরীরে জমা ফ্যাট শরীরেরই ক্ষতি করতে শুরু করে।
ওবেসিটি মাপা হয় শরীরের বডি মাস ইনডেক্স (BMI-বিএমআই) দিয়ে। বিআইএম হলো শরীরের উচ্চতা ও ওজনের আনুপাতিক হার, যা দিয়ে বোঝা যায় যে কোনো ব্যক্তি মাত্রার চেয়ে বেশি ওজন (pre-obese) বিশিষ্ট কিনা। সাধারণ ওজন হলে বিএমআই ১৮.৫ kg/m2 থেকে ২৪.৯ kg/m2-এর মধ্যে থাকে। বিআইএম যদি ২৫ kg/m2 থেকে ৩০ kg/m2-এর মধ্যে থাকে, তখন তাকে স্থূলকায় বা মোটা বলা যেতে পারে। আর বিএমআই-এর মাত্রা ৩০ ছাড়িয়ে গেল সেটাকে ওবেসিটি হিসেবে ধরা হয়।
গবেষণা থেকে দেখা যায়, মানুষের কোমর-নিতম্বের অনুপাত মেনে চর্বি বা স্নেহ পদার্থ সারা শরীরে ছড়িয়ে থাকে। এই অনুপাতের হেরফেরই হলো এক ধরনের শারীরিক সমস্যা, আর মাত্রা বেড়ে যাওয়া হলো ওবিসিটি।
বিভিন্ন দেশে ওবিসিটি বা অতি-স্থূলতার হার
সম্প্রতি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ওবিসিটির হার নিয়ে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ হার সবচেয়ে বেশি (৪০.০%)। শীর্ষে থাকা অন্য দেশগুলো হলো মেক্সিকো (৩৬.১%), চিলি (৩৪.৪%), নিউ জিল্যান্ড (৩২.২%) ও অস্ট্রেলিয়া (৩০.৪%)।
এছাড়া তুরস্কে এ হার ২৮.৮, যুক্তরাজ্যে ২৭.৭, ফিনল্যান্ডে ২৬.৮, কানাডায় ২৬.৩, জার্মানিতে ২৩.৬, কলম্বিয়ায় ১৮.৭, ফ্রান্সে ১৭.০, স্পেনে ১৬.৯, সুইডেনে ১৪.১, নরওয়েতে ১২.০, ইতালিতে ১০.৭, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫.৯, জাপানে ৪.০।
বাংলাদেশে ওবিসিটির হার
এটা সাধারণভাবে বলা চলে যে বাংলাদেশে ওবিসিটির হার বাড়ছে। কিন্তু এই হার ঠিক কত, সে সম্পর্কে কারো হাতে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। কয়েক বছর আগে এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে ২০১৪ থেকে ২০১৮— এই চার বছরে দেশে স্থূলতার প্রবণতা নারীদের মধ্যে তিন গুণ এবং পুরুষদের মধ্যে দেড় গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। (The Business Standard, ০৯ অক্টোবর ২০২২ অনলাইন সংস্করণ)
এর পেছনে দায়ী করা হয়েছে পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়াকে। আর স্থূলতা বাড়ার কারণে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়েবেটিস ও বিভিন্ন ক্যান্সারের মতো অসংক্রামক রোগব্যাধির ঝুঁকি উদ্বেগজনক মাত্রায় বাড়ছে। এছাড়া ধীরে ধীরে ডায়াবেটিস বাড়ার প্রবণতাও দেখা গেছে।
ইতিহাস ও সংস্কৃতি
লাতিন ওবিসিটাস শব্দ থেকে ওবিসিটি শব্দটি এসেছে। লাতিনে ওবিসিটাস-এর মানে হলো ‘মজবুত, মোটা অথবা নধর’। Ēsus হলো edere-র পাস্ট পার্টিসিপল রূপ (খেতে), এর সাথে যুক্ত হয়েছে ob (বেশি)। অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ১৬১১ নাগাদ এর প্রথম ব্যবহার করেছিলেন র্যান্ডেল কটগ্রেভ, এটি ব্যবহার করা হয়েছিল ‘এ ডিকশনারি অব দ্য ফ্রেঞ্চ অ্যান্ড ইংলিশ টাঙস’-এ।
গ্রিকরাই প্রথম স্থূলতাকে চিকিৎসা সংক্রান্ত গোলমাল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। হিপোক্রেটিস বলে গেছেন যে ‘অত্যধিক স্থূলতা কেবল একটা রোগই নয়, বরং অন্য রোগের অগ্রদূত’’। যতদূর জানা যায় ভারতীয় শল্য চিকিৎসক সুশ্রুত (খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক)-ই ডায়াবেটিস ও হৃদযন্ত্রের গোলমালের সাথে স্থূলতার যোগাযোগের কথা তুলে ধরেন। এই রোগ ও এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার চিকিৎসায় শারীরিক কসরত বা ব্যয়ামের সাহায্য করার কথা তিনিই সুপারিশ করেন।
মানব ইতিহাসের বেশিরভাগটা জুড়েই মানবজাতিকে খাদ্যের আকালের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। এভাবে স্থূলতাকে ঐতিহাসিকভাবেই সম্পদ ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে দেখা হয়ে আসছে। মধ্যযুগ ও নবজাগরণের সময় ইউরোপে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে স্থূলতা খুবই সাধারণ বিষয় ছিল, পাশাপাশি প্রাচীন পূর্ব এশীয় সভ্যতাতেও তাই ছিল।
আবার ইতিহাসে বহু সংস্কৃতিতেই স্থূলতাকে চারিত্রিক দোষ হিসেবে দেখা হয়ে এসেছে। গ্রিক হাস্যরসে অবিসাস অথবা মোটা মানুষের চরিত্রকে একটা পেটুক ও ব্যঙ্গবিদ্রুপের বিষয় হিসেবে দেখানো হতো। খাবারকে আলস্য ও লালসার পাপের প্রবেশদ্বার হিসেবে দেখা হতো। আধুনিক পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে বাড়তি ওজনকে অনেক সময়েই অনাকর্ষণীয়, দৃষ্টিকটু হিসেবে বিচার করা হয় এবং স্থূলতা সাধারণভাবেই বেশ কিছু নেতিবাচক একঘেয়েমির সঙ্গে জুড়ে আছে। সমস্ত বয়সের মানুষ এর জন্য সামাজিকভাবে কলঙ্কিত হিসেবে বিবেচিত হয়, এবং এরা টিটকারির শিকার হতে পারে অথবা সতীর্থরা তাকে এড়িয়ে চলতে পারে। স্থূলতা আবার বৈষম্যেরও কারণ হয়।
স্বাস্থ্যগত প্রভাব
ওবিসিটির ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়, বিশেষত কার্ডিও-ভাসকুলার সংক্রান্ত রোগ, ডায়াবেটিস মেলাইটাস টাইপ টু, নিদ্রাহীনতা, কয়েক ধরনের ক্যান্সার এবং অস্টিও-আর্থারাইটিস জাতীয় রোগের সম্ভাবনা দেখা দেয়। এর ফলে হজমের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে বেশি কোলেস্টরল ও উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইড-র মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শেষ পর্যন্ত দেখা যায় স্থূলতা আখেরে মানুষের আয়ু কমিয়ে দেয়।
শরীরে চর্বির পরিমাণ বেড়ে গেলে ইনসুলিন সেভাবে সাড়া দেয় না, পরবর্তীকালে ইনসুলিন শর্করাকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলে। চর্বির মাত্রা আরো বাড়লে প্রদাহ হতে পারে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। অতিরিক্ত মেদের কারণে পুরুষদের ক্ষেত্রে ৬৪% এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৭৭%-র ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বছরে স্থূলতাজনিত রোগের শিকার হয়ে মারা যান ১১১,৯০৯ থেকে ৩৬৫,০০০জন। আর ইউরোপের দেশগুলিতে এই সংখ্যা ১০ লক্ষের (৭.৭%) কাছাকাছি। স্থূলতার কারণে মানুষের গড়ে ৬-৭ বছর জীবনকাল কমে আসে; যাদের BMI ৩০—৩৫-এর মধ্যে, তাদের জীবনকাল দুই থেকে চার বছর কমতে পারে বলে মনে করা করা হয়। আর যারা অত্যধিক স্থূল বা মোটা (BMI > ৪০) তাদের আয়ু প্রায় দশ বছর কমে যেতে পেতে পারে।
ওবিসিটির কারণ
ওবিসিটির কিছু ঐতিহাসিক, আর্থ-সামাজিক এবং জীনতাত্ত্বিক কারণ রয়েছে। অভাব বা অজ্ঞতার কারণে জীবনের গোড়ার দিকে অনেকে পুষ্টিহীনতায় ভুগতে পারে। এরাই যখন পরে প্রচুর খাদ্য খাওয়ার বা বেশি ক্যালরি গ্রহণের সুযোগ পায়, তখন তাদের মধ্যে স্থূলতা বেড়ে যায়। অপুষ্টির সময়ে অ্যান্ডোক্রাইনে যে পরিবর্তন ঘটে, সেটা পরে ক্যালরির সরবরাহ বেড়ে গেলে ক্যালরিকে ভেঙে চর্বিতে রূপান্তরিত করে। এটা কোনো একক ব্যক্তির ক্ষেত্রে হতে পারে, এমনকী একটা গোটা জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও হতে পারে।
শারীরিক পরিশ্রমের ধরনে পরিবর্তন স্থূলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে বসে কাজ করার প্রবণতা স্থূলতা বাড়ায়। এটা ব্যক্তি বা জনগোষ্ঠী— দুই ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কোনো কৃষি-নির্ভর জনগোষ্ঠী যখন নগরায়নের ফলে ভিন্ন ধরনের জীবন-ধারায় চলে আসে, তখন তাদের মধ্যে স্থূলতার হার বাড়তে থাকে। উন্নয়নশীল দেশে নগরায়নও অতি-স্থূলতার হার বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটা ভূমিকা পালন করছে।
টেলিভিশন-কম্পিউটার-মোবাইল-ট্যাব ইত্যাদি ডিভাইসে বেশি সময় ব্যয় করা এবং অতি স্থূলতার ঝুঁকির মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে। ২০০৮ সালের এক মেটা-বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শিশুদের মধ্যে অতি স্থূলতা বাড়ছে তার কারণ তারা বেশি সময় ধরে টেলিভিশন দেখছে। এর সাথে এখন যুক্ত হয়েছে মোবাইল ইত্যাদি ডিভাইস । শিশুদের সাথে সাথে এটা বয়স্কদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
বসে কাজের জীবনশৈলী ওবিসিটি বাড়াতে বড়ো ভূমিকা রাখছে। গোটা বিশ্বই এখন কম শারীরিক পরিশ্রমের কাজের দিকে ঝুঁকছে। বিশ্বের জনসংখ্যার ৬০শতাংশই এখন অপর্যাপ্ত শারীরিক কসরত বা ব্যায়াম করতে পারে।এর প্রাথমিক কারণ হলো যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া এবং বাড়িতে শ্রমশক্তি বাঁচানো প্রযুক্তির অধিক প্রচলন। হাঁটা এবং শারীরির শিক্ষা কমে যাওয়ার কারণে শিশুদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে শারীরিক কসরতের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। সক্রিয় অবকাশের সময় শারীরিক ক্রিয়াকর্মের প্রতি ঝোঁক বিশ্বে কমে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশ করেছে যে সারা বিশ্বেই মানুষ এখন কম সক্রিয় আনন্দের দিকে ঝুঁকছে।
এছাড়া যে কারণগুলো বলা হয়—
- কিছু বিশেষ ওষুধ স্থূলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
- কিছু জন্মনিরোধক বড়ি স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
- বংশগত কারণে স্থূলতা হতে পারে।
- গ্রোথ হরমোনের অভাব স্থূলতা বাড়াতে পারে।
- হরমোন গ্রন্থিগুলোর কোনো পরিবর্তনও স্থূলতা বাড়াতে পারে।
- অতিরিক্তি মদ্যপানের কারণে স্থুল বাড়েতে পারে।
- অনিশ্চয়তা-উদ্বেগ, অতিরিক্ত মানসিক চাপ স্থূলতার কারণ হতে পারে।
- অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন হতে পারে স্থূলতার কারণ।
প্রতিরোধ ও প্রতিকার
মাপ মতো বা কম ক্যালরিযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া (dieting) এবং শারীরিক বা কায়িক পরিশ্রমই হলো এই স্থূলতা কমানোর প্রাথমিক চিকিৎসা। সীমিত খাদ্যগ্রহণ এবং শারীরিক পরিশ্রমে কাজ না হলে এর পাশাপাশি স্থূলতা কমানোর ওষুধ খাওয়া যেতে পারে, তবে সেটা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে। কম ক্যালরিবিশিষ্ট সঠিক খাদ্যাভ্যাস কর্মসূচির ফলে অল্প সময়ের মধ্যে ওজন কমানো সম্ভব। কিন্তু ওজন কমিয়ে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে কম ক্যালরির খাদ্যাভ্যাসের সাফল্যের হার খুবই কম।
সারা বিশ্বের উদ্বেগ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু-WHO)-র অনুমান, অতিওজন ও স্থূলতা খুব শীঘ্রই হয়তো কমপুষ্টি (আন্ডার নিউট্রিশন) ও সংক্রামক ব্যাধির মতো প্রথাগত জনস্বাস্থ্য সমস্যার জায়গা নেবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দিনের পর দিন বাড়ছে এবং একবিংশ শতাব্দীতে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই সমস্যাক মারাত্মক আকার নিতে চলেছে। তবে একই সাথে এটাও মনে করা হয় যে বর্তমান বিশ্বে মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে স্থূলতা উপরের সারির একটি, যা সহতজেই প্রতিষেধ করা সম্ভব। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কারণেই সারা বিশ্বে ৪ মার্চ আন্তর্জাতিক ওবেসিটি দিবস পালন করা হয়।
ওবিসিটি ও বাংলাদেশ
আগেই বলা হয়েছে যে ওবিসিটি নিয়ে বাংলাদেশে কোনো যথোপযুক্ত গবেষণা নেই। আবার ওবিসিটি এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে বলে হৈচৈ হলেও তার প্রতিকারের তেমন কোনো উদ্যোগও নেই। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও খেলাধুলার আয়োজন করা হয় না। বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তো খেলার মাঠ পর্যন্ত নেই। ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ইত্যাদি ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোতে নেই পর্যাপ্ত খেলার মাঠ, পার্ক। এমনকী রাস্তার দুপাশের ফুটপাথগুলোও হাঁটার উপযুক্ত নয়। এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার সময় বোধ হয় পেরিয়ে যাচ্ছে।