ঢাকাসোমবার , ৫ জুন ২০২৩
  • অন্যান্য

স্বাস্থ্য রক্ষায় গরমে করণীয় : ডা. সুশান্ত বড়ুুয়া

ডা. সুশান্ত বড়ুুয়া
জুন ৫, ২০২৩ ৮:৩২ পূর্বাহ্ণ । ২০৯৩ জন

এবারের গ্রীষ্মে অত্যধিক গরম পড়ছে। ইতিমধ্যে গ্রাম-শহর-বন্দর কোন অঞ্চল বাদ পড়েনি গরমের এই প্রকোপ থেকে। সবখানে প্রত্যেকের আত্মীয় স্বজন ছড়িয়ে আছেন।কাজেই অত্যধিক গরমের প্রভাব আমার আপনার জীবনে এক অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে। সেজন্য গরমে করণীয় সম্পর্কে আমাদের একটা সাধারণ ধারণা থাকা বাঞ্চনীয়-

১. প্রতিদিন একবার গোসল/স্নানের পাশাপাশি দু’বার গা মোছানো উচিত।
২. বাসাবাড়ির অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা কমানোর ব্যবস্থা নিন। যেমন- দরজা জানালা খোলা রাখুন এবং ভেতরে ভেজা কাপড় টাঙিয়ে রাখুন।
৩. শিশু এবং বয়োবৃদ্ধ সদস্যদের বিশেষ যত্ন নিন। গায়ে পাতলা পোশাক পরিধান করাবেন।
৪. পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল জাতীয় খাবারের প্রতি মনোযোগ দিন। এবং রসালো ফলফলাদি খাবারের মেন্যুতে যোগান দিন।
৫. সাধারনত প্রতিদিন ১০-১২ গ্লাস পানীয় জল খাওয়ান (প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের) । শিশুদের বয়স অনুযায়ী পানীয় জল দিন, ৬ মাসের পর থেকে। অন্যান্য বয়সের একটা চার্ট দেয়া হলো।

ওজন ৪০ কেজি হলে ১.৩ লিটার, ৫০ কেজি হলে ১.৬ লিটার, ৬০ কেজি হলে ২ লিটার,
৭০ কেজি ২.৩ লিটার, ৮০ কেজি হলে ২.৬ লিটার। অতিরিক্ত গরম পড়লে আরো ৫০০মিলি যোগ করুন।

তবে শিশুদের জন্য আলাদা চার্ট ফলো করুন। যেমন ১-৩ বছরের জন্য ৮০০ মিলি থেকে ১০০০ মিলি।
৪-৮ বছরের জন্য ১-১.৩ লিটার। ৮-১৩ বছরের জন্য ১.৩-১.৭ লিটার

সতর্কতাঃ
১.অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হওয়া।
২. খুব জরুরি হলে কালো রঙের ছাতা নিয়ে বের হওয়া।
৩. রঙিন ও মোটা কাপড় পরিহার করা।সাদা রঙের পোশাক পরিধান করা।
৪. সাইকেল না চালানো।
৫. তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পথের ধারের শরবৎ এড়িয়ে চলুন।
৬. হোটেল রেস্তোরাঁর খাবার সম্ভব হলে এড়িযে চলুন।
৭. ঘরে বাসী খাবার খাবেন না।
৮. ঘরে বাইরে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় নেবেন না। স্বাভাবিক/অল্প ঠান্ডা পানীয় নিন।
৯. বাহির থেকে এসে হঠাৎ স্নানে না গিয়ে, কিছুক্ষণ পর,ঘাম শুকানোর পর স্নান নিন।
১০. মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে কম মসলার স্যুপ নিন।
১১. এসির তাপমাত্রা ২৪°_ ২৬° এ রাখুন।

তারপর জ্বর ও সর্দি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মাস্ক পরিধান করুন। এ গরমে যেসব রোগবালাই হবার শঙ্কা রয়েছে তাহলো, ভাইরাস জ্বর, পেটের পীড়া, ডায়রিয়া, গলায় ঠান্ডা লেগে কণ্ঠনালী বা টনশিল এ সংক্রমণ। আর চামড়ায় এলার্জি, ফাংগাল ইনফেকশন।