ঢাকাবুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অন্যান্য

ছুটির দিনে দূতাবাসের সেবা চান দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫ ১০:০২ পূর্বাহ্ণ । ৬ জন

দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশিদের সংখ্যা এখন প্রায় ৩০ হাজারের ওপরে এবং দিন দিন এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশের নিয়ম-নীতিতে কিছু কঠোরতা এবং ভিন্নতাও থাকলেও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিক-ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মদক্ষতার প্রমাণ দিচ্ছে দেশটির অর্থনীতিতে!

দক্ষিণ কোরিয়া সরকারও ভীনদেশের মানুষদের জন্য সর্বাত্মক সেবা দানে আন্তরিক। এখানে ছুটির দিনেও প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক-হাসপাতালসহ জরুরি সেবার প্রায় সবকিছুই খোলা রাখা হয়। কারণ কোরিয়ান কোম্পানিগুলো সব সময় ব্যস্ত থাকায় সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টায় এসব সেবা নেওয়া অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে যায় বিদেশিদের জন্য।

ব্যতিক্রম শুধু দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস! প্রবাসীদের সেবায় মাসে অন্তত একটা ছুটির দিনে দূতাবাসের সেবা কার্যক্রম চালানোর অনুরোধ প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বারবার করা হলেও বাংলাদেশ দূতাবাস বরাবরই নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে!

কোরিয়ান কোম্পানিগুলিতে যেখানে কাজের সময় হাসপাতালেও যাওয়ার অনুমতি মেলে না অনেক কোম্পানিতে সেখানে পাসপোর্টসহ অন্যান্য জরুরি কাজের জন্য দূতাবাসে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যুদ্ধ জয়ের শামিল!

কোরিয়ায় দেগু শহরে কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিক শফিকুল আলম বলেন, আমার পাসপোর্ট নবায়ন করার জন্য দূতাবাসে যেতে হবে কিন্তু কোম্পানি ছুটি দিতে নারাজ! যেহেতু ছটির দিনে দূতাবাসের সেবা বন্ধ তাই বাধ্য হয়েই আমাকে চাকরি ছেড়ে দিতে হবে শুধু পাসপোর্ট নবায়ন করার জন্য!

গিম্পু শহড়ে কর্মরত সোহেল আরমান জানান, একদিন ছুটি কাটালে কোম্পানিতে দুইদিনের বেতন কর্তন করা হয় এবং এটাই নিয়ম কোরিয়াতে। এরপরেও ছুটি পাওয়া যায় না অনেক সময়। মাসে একবার ছুটির দিনে দূতাবাসের সেবা পাওয়া গেলে আমরা উপকৃত হবো।

ফিলিপাইনসহ আরও কয়েকটা দূতাবাস তাদের দেশের কর্মীদের সেবা দেওয়ার জন্য ছুটির দিনে খোলা থাকলেও বাংলাদেশ দূতাবাস যেন এই বিষয়ে উদাসীন! বিভিন্ন সময় ব্যক্তি এবং বিভিন্ন সংগঠন থেকে অনুরোধ করলেও বাংলাদেশ দূতাবাস কার্যত এই ব্যাপারে কোনো দৃশ্যত পদক্ষেপ নেয়নি।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা তাদের সেবায় দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতি মাসে অন্তত একটি ছুটির দিনে সেবা দেওয়ার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন।