চীনের তৈরি প্রথম দেশীয় যাত্রীবাহী বিমান সি৯১৯ প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। রাষ্ট্রীয় চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস নতুন এ বিমানটি পরিচালনা করছে। সিএনএন অনুসারে, বিমানটি স্থানীয় সময় রোববার সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে সাংহাই ত্যাগ করে এবং বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুপুর ১২টা ৩১ মিনিটে ‘সহজভাবে পৌঁছয়’। বিমানটিতে একটি করিডোর এবং দুটি ইঞ্জিন রয়েছে। ১৬৪ আসনের বিমানটি তার প্রথম ফ্লাইটে ১৩০ জনেরও বেশি যাত্রী বহন করেছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি জানিয়েছে, যাত্রীরা এদিন লাল বোর্ডিং পাস পেয়েছেন এবং ফ্লাইটের স্মরণে একটি দুর্দান্ত ‘থিমের খাবার’ উপভোগ করেছেন। সোমবার থেকে সি৯১৯ চীনের পূর্বাঞ্চলের নিয়মিত রুট-সাংহাই ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চেংডুর মধ্যে চলাচল করবে। বোয়িং এবং এয়ারবাসের মতো পশ্চিমা প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চীনের প্রচেষ্টায় এই যাত্রা একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সি৯১৯১ বাণিজ্যিক বিমানটি করপোরেশন অব চায়না (সিওএমএসি) তৈরি করেছে, যা গত সেপ্টেম্বরে চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সনদ লাভ করে। ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর এই বিমানের ১০০ ঘণ্টা যাচাইকরণ ফ্লাইট পরিচালনা শেষ হয়। যার মাধ্যমে বিমানের অপারেশনাল নিরাপত্তা যাচাই ও নিশ্চিত করা হয়। সি৯১৯১ উচ্চ তাপমাত্রা, উচ্চ আর্দ্রতা, তীব্র ঠাণ্ডা, দমকা ও হিমায়িতসহ বিভিন্ন ধরনের চরম প্রাকৃতিক পরিবেশে পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে। বিমানটি ২০১৭ সালে প্রথম উড়েছিল এবং রবিবারের প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইটের আগে অসংখ্য পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। সিওএমএসির বিপণন ও বিক্রয় বিভাগের পরিচালক ঝাং জিয়াওগুয়াংকে উদ্ধৃত করে সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইটটি নতুন বিমানের একটি আগমনী অনুষ্ঠান। সি৯১৯ যদি বাজারে ছাড়া হয় তবে এটি আরো ভালো এবং আরো ভালো করবে। কর্মকর্তারা বলছেন, বাজারে চীনা বিমানের প্রবেশ বোয়িং এবং এয়ারবাসের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করবে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচলের বাজারে একটি প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। সূত্র : এনডিটিভি