ঢাকামঙ্গলবার , ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য

আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিশ্বের শীর্ষ ১০ মনোমুগ্ধকর দর্শনীয় স্থানের আদ্যোপান্ত

সানজিদা সুমাইয়া
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ । ৬১৬ জন

ব্যাস্ত নগরীর কনক্রিটের জঞ্জালে যখন আমাদের হাঁসফাঁশ অবস্থা তখন স্বস্তি পেতে আমরা ছুটে যাই প্রকৃতির কাছে। কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে আমরা হয়ে পড়ি বিশ্ব- পরিব্রাজক। দেশে- বিদেশে আমরা ঘুরে বেড়াই সৌন্দর্যের সন্ধানে। মানুষের এই বেড়িয়ে পড়ার নেশা থেকেই জন্ম নিয়েছে পর্যটন শিল্প। প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এই শিল্পের মাধ্যমে নিজেদের মনের ক্ষুধা মেটাচ্ছেন। পাশাপাশি অর্থনীতিকে জোরদার করছে। চলুন দেখে নেয়া যাক পর্যটকদের জন্য পৃথিবীর  সবচেয়ে চমকপ্রদ স্থানগুলো কোথায় :

চীনের মহাপ্রাচীর

এটি পাথর ও মাটি দিয়ে তৈরি দীর্ঘ প্রাচীর সারি। এটি খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতক থেকে খ্রিস্টীয় ১৬শ শতক পর্যন্ত চীনের উত্তর সীমান্ত রক্ষা করার জন্য তৈরি ও রক্ষাণাবেক্ষণ করা হয়। চীনের মহাপ্রাচীর মানুষের হাতে তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থাপত্য। এই প্রাচীরের উচ্চতা প্রায় ৫ থেকে ৮ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ৮৮৫১.৮ কিলোমিটার।

তাজ মহল- ভারত

তাজমহল মুঘল স্থাপত্যশৈলীর একটি আকর্ষণীয় নিদর্শন।এর নির্মাণশৈলীতে পারস্য, তুরস্ক, ভারতীয় এবং ইসলামী স্থাপত্যশিল্পের সম্মিলন ঘটানো হয়েছে। যদিও সাদা মার্বেলের গোম্বুজাকৃতি রাজকীয় সমাধিটিই বেশি সমাদৃত, তাজমহল আসলে সামগ্রিকভাবে একটি জটিল অখণ্ড স্থাপত্য। এটি ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্বঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহল।

আইফেল টাওয়ার- ফ্রান্স

ফ্রান্সের নাম শুনলেই চোখে ভেসে উঠে আইফেল টাওয়ার। ১০৫০ ফুট উচ্চতার টাওয়ার টি গুস্তাভো আইফেল নির্মাণ করেন ১৮৮৯ সালে। ১৮,০৩৮ খণ্ড লোহার তৈরি বিভিন্ন আকৃতির ছোট-বড় কাঠামো জোড়া দিয়ে এই টাওয়ার তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে এটি ফ্রান্সের সর্বাধিক পরিচিত ল্যান্ডমার্ক।

নায়াগ্রা জলপ্রপাত- কানাডা

মূলত তিনটি পাশাপাশি অবস্থিত ভিন্ন জলপ্রপাত নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত গঠিত। প্রতি মিনিটে ১৬৮,০০০ ঘনমিটার পানি এই জলপ্রপাত দিয়ে প্রবাহিত হয়। নায়াগ্রা জলপ্রপাত তার সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত এবং এটি জলবিদ্যুতের একটি মূল্যবান উৎস।

পাতং সমুদ্রসৈকত- থাইল্যান্ড

পাতং থাইল্যান্ডের ফুকেট প্রদেশের পশ্চিম উপকূলের একটি সমুদ্র সৈকত এবং শহর।এটি ফুকেট দ্বীপের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র এবং ফুকেটের নাইটলাইফ এবং কেনাকাটার মধ্যস্থল।পর্যটন স্থান হিসেবে ফুকেট সারাবিশ্বে পরিচিত হলেও পাতং নামটি অনেকের কাছেই অজানা।

ত্রাণকর্তা যিশুখ্রিস্ট- ব্রাজিল

ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরো তে অবস্থিত কর্কোভাদো পাহাড়ের চূড়ায় ৩০ মিটার উঁচু যিশুখ্রিস্টের সুবিশাল মূর্তিটির ক্রাইস্ট দ্যা রিডিমার নামে পরিচিত। ১৯৩১ সালে নির্মিত মূর্তিটি পৃথিবীর নতুন সপ্তাশ্চর্যের একটি।

ওল্ড হাভানা-কিউবা

ওল্ড হাভানা কিউবায় অবস্থিত একটি প্রাচীন শহর। এর স্থাপত্যশৈলী সত্যিই অভিনব।ওল্ড হাভানা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

বুর্জ খলিফা- সংযুক্ত আরব আমিরাত

বুর্জ খলিফা দুবাইতে অবস্থিত পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ভবন ও স্থাপনা। ২০০৯ সালে স্থাপিত ভবনটির উচ্চতা ৮২৯.৮ মিটার।

গীজার মহা স্ফিংক্স- মিশর

 স্ফিংক্স হল একটি পৌরাণিক জীব যার দেহ সিংহের এবং মাথা মানবের। গীজার মহা স্ফিংক্স বলতে বোঝানো হয় চুনাপাথরের তৈরি পৌরাণিক জীব স্ফিংক্স-এর একটি বৃহৎ মূর্তি।

ফুজি পর্বত- জাপান

রাজধানী টোকিও থেকে মাত্র ১০০ কিলমিটার দূরে জাপানের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ফুজি অবস্থিত। এটি একটি লাভাগঠিত সক্রিয় আগ্নেয়গিরি এবং ১৭০৭-০৮ সালে এখানে সর্বশেষ অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটে। এটি জাপানের একটি সুপরিচিত প্রতীক এবং জাপানের শিল্পকলা ও স্থিরচিত্রে প্রায়শই এটিকে দেখা যায়।

 

লেখক : শিক্ষার্থী, বুয়েট