ঢাকাবুধবার , ৯ এপ্রিল ২০২৫

ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের ইলিশ নিয়ে শঙ্কা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ৯, ২০২৫ ৫:৪৪ অপরাহ্ণ । ১৬ জন

বাংলাদেশের ইলিশ উৎপাদন কমে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে দুশ্চিন্তায় আছে ভারত! বাংলাদেশের মৎস্য অধিদপ্ততরের হিসাব অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়া গেছে, তা গত সাত বছরের হিসাবে সবচেয়ে কম।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইলিশ কমার নেপথ্যে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, অতিরিক্ত মাছ ধরা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নাব্যতা সংক্রান্ত সমস্যার মতো বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে।

বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে ইলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পেতে হঠাৎ কেন কমে গেল? এই বিষয়ে চাঁদপুরে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণাকেন্দ্রের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু কওসর দিদার বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গত বছর অনেক মৎস্যজীবী সমুদ্রে বা নদীতে যেতে পারেননি। ফলে সামগ্রিক ভাবেই মাছ ধরার পরিমাণ কমেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের সুন্দরবন অঞ্চলসহ কিছু জায়গায় নাব্যতার সমস্যা রয়েছে। সেটিও অন্যতম কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

তিনি বলেন, ইলিশ সাধারণত পাঁচ মিটারের বেশি গভীর জল পছন্দ করে। কিন্তু সমুদ্র থেকে যে পথে ইলিশ প্রবেশ করে, সেই নদীপথগুলির কিছু জায়গায় গভীরতা দুই বা তিন মিটারে নেমে এসেছে।

বরিশালের বিভাগীয় মৎস্য দফতরের তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ সালে ৫.২৯ লাখ টন ইলিশ পাওয়া গেছে। যা আগের অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় ৪২ হাজার টন কম।

তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত ইলিশের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশে। তবে ২০২৩-২৪ সালে এক ধাক্কায় অনেকটা কমেছে ইলিশের পরিমাণ।

২০১৮-১৯ সালে ৫.৩২ লাখ টন ইলিশ মিলেছিল। তার পর থেকে প্রতি বছরই ইলিশের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯-২০ সালে ৫.৫০ লাখ টন, ২০২০-২১ সালে ৫.৬৫ লাখ টন, ২০২১-২২ সালে ৫.৬৬ লাখ টন এবং ২০২২-২৩ সালে ৫.৭১ লাখ টন ইলিশ মিলেছিল।

ইলিশ যখন নদীপথে প্রবেশ করে, তখন অতিরিক্ত মাছ ধরার ফলেও পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বরিশাল মৎস্য অফিসের উপ-পরিচালক নরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের মতে, যেহেতু মূল নদীপথ দিয়ে ইলিশের সংখ্যা কমছে, সেই কারণেই সামগ্রিক উৎপাদনের ওপর প্রভাব পড়েছে।