ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৮ মার্চ ২০২৪

শামসুল হুদার চেষ্টায় বাংলাদেশী জেল থেকে আজ বিহারে ফিরছে দীপক

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ২৮, ২০২৪ ১২:১৭ অপরাহ্ণ । ৫৬২ জন

দীপক, বয়স ৩৫ বছর। মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিক। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মামলার আসামী পিরোজপুর জেলা কারাগারে রাখা হয়েছিলো। তদন্ত চলাকালে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় দীপকের বাড়ি ভারতের বিহার রাজ্যের সমস্তিপুর মহুকুমা মনিহারপুর গ্রামে। পরবর্তীতে প্রত্যাবাসন করবার লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিলো। মেয়াদি সাজা শেষে গত ৫ অক্টোবর ২০২৩ দীপককে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ৬ ব্যাটলিয়নের মাধ্যমে বিএসএফ এর কাছে হস্তান্তর করার লক্ষ্যে নেয়া হয় গেদে সীমান্তে। কিন্তু দীপকের কোনো লিগ্যাল অভিবাবক না থাকায় বিএসএফ তাকে গ্রহণ করেনি।

 

মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় যুবক দীপক

অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর একাত্তর টেলিভিশনের জেষ্ঠ্য চিত্রগ্রাহক, অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রোটারী ক্লাব অব বনানীর সদস্য মো. শামসুল হুদার চেষ্টায় জেলবন্দী যুবক দীপক বাসায় ফিরছে। যখন সবগুলো সম্ভাবনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো তখন শামসুল হুদা ব্যক্তি উদ্যোগে দীপকের পরিবার খুঁজে বের করেছেন। এর আগেও শামসুল হুদা এ ধরনের বেশকিছু হারিয়ে যাওয়া মানুষকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে সাহায্য করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ দুপুরে দীপককে দর্শনার গেদে সীমান্ত প্রান্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

দীপকের পরিবার খুঁজে বের করেছেন একাত্তর টেলিভিশনের জেষ্ঠ্য চিত্রগ্রাহক মো. শামসুল হুদা

দীপকের পরিবার খুঁজে বের করা প্রসঙ্গে শামসুল হুদা জানান, গত ১৪ মার্চ ২০২৪ অভিষেক নামের ঝাড়খন্ড নিবাসী একজন ভারতীয় নাগরিককে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষে স্থানীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষ আমাকে দীপকের বিষয়টি অবহিত করে এবং কিছু তথ্য-উপাত্ত দিয়ে দীপকের পরিবারকে খুঁজে দেবার অনুরোধ জানায়। যেহেতু দীপকও একজন ভারতীয় নাগরিক সেহেতু লিগ্যাল অভিবাবক ছাড়া হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। আমার ইতোপূর্বেকার সাফল্যে ভর করে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সরবরাহককৃত মামলার কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে গত ১৭ মার্চ ২০২৪ প্রযুক্তির সহায়তায় বিহারের মনিহারপুর গ্রাম থেকে দীপকের পরিবারকে খুঁজে পাই। স্থানীয় প্রশাসন ছাড়াও সরাসরি কথা হয় দীপকের বাবা ও নিকট আত্মীয়দের সাথে।

তিনি আরও জানান, বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। ফলশ্রুতিতে আজ দুপুরে দীপককে গেদে সীমান্ত প্রান্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার দিন ও সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আমি তাকে সঙ্গে নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে পথেই আছি। এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও দুই দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন। দীপকের পরিবারের পক্ষ থেকে তার বাবা রাম নরেশ ঠাকুর এবং দুলাভাই গৌরব কুমার উপস্থিত থাকবেন।