ঢাকাসোমবার , ১ জানুয়ারি ২০২৪

সংবাদ সম্মেলনে আসক ও এমএসএফ : হেফাজতে মৃত্যু বেড়েছে

পাবলিক হেলথ ডেস্ক
জানুয়ারি ১, ২০২৪ ৬:৩২ অপরাহ্ণ । ৫৭১ জন

মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’ (আসক) জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা বিদায়ী বছরে বেড়েছে। সংগঠনটির তথ্যমতে, ২০২৩ সালে কারা হেফাজতে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে; ২০২২ সালে মৃত্যু হয় ৬৫ জনের। গতকাল রবিবার (৩১ ডিসেম্বর ’২৩) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আসকের পক্ষ থেকে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

এদিকে একই দিন মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরতে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ‘মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন’ (এমএসএফ)। মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠনটির হিসাব বলছে, দেশে ২০২২ সালে ২২টি বন্দুকযুদ্ধে ১৫ জনের মৃত্যু হয়; ২০২৩ সালে মৃত্যু হয় সাতজনের। এছাড়া রাজনৈতিক সহিংসতায় বিদায়ী বছরে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের; আহতের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার।

আসক বলছে, ২০২২ সালে কারা হেফাজতে মৃত্যু হয় ৬৫ জনের, সেখানে এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫ জনে। এ ছাড়া পুলিশের হেফাজতে ১৩ জন, র‌্যাবের হেফাজতে ২ জন ও ডিবি পুলিশের হেফাজতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এমএসএফের হিসেবে, ২০২৩ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেড়েছে। ২০২২ সালে অপহরণ ও নিখোঁজের অভিযোগ ছিল ৩০টি, ২০২৩ সালে অভিযোগ পাওয়া গেছে ৮৯টি।

আসকের তথ্য বলছে, বিএনপিসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল ভোট বর্জন করায় এরই মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে নানা প্রশ্ন ও উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, গায়েবি মামলা, হামলা, গণগ্রেপ্তার, পরিবহন ধর্মঘট ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে।

আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশে ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫৭৩ জন। ধর্ষণ ও নির্যাতনের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৪৮৪ শিশুর। ৩২ নারী গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনে ছয়জনের মৃত্যু হয়।

আসক বলছে, বছরজুড়ে ৩১২ সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৬৫। এ ছাড়া আইশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে তিনজন শ্রমিকের প্রাণও গেছে বিদায়ী বছরে।

আসকের হিসাবে, ২০২৩ সালে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে ৩০ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন; নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩১ জন।