সুপার টাইফুন ইয়াগি ও এর প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় ভিয়েতনামে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় দুইশ। এখনো নিখোঁজ আছেন অন্তত ২৪ জন। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরে এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী এ টাইফুনটি শনিবার ঘণ্টায় ২শ ৩ কিলোমিটার বেগে দেশটির উত্তরাঞ্চলে আছড়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে হাইফং ও কোয়াং নিন প্রদেশে। ঝড়ে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় ব্যাহত হয় যান চলাচল।
রবিবার রাতে দেয়া এক বিবৃতিতে ভিয়েতনাম সরকার জানিয়েছে, ইয়াগির কারণে দেশটির বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও টেলিযোগাযোগে বিঘ্ন ঘটে। দেশটিতে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় তলিয়ে গেছে অনেক এলাকা। নিরাপত্তার জন্য ৫০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হ্যানয় বিমানবন্দরে ৩০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের ১২টি প্রদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
আগামী কয়েকদিন আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ।
ভিয়েতনামে আঘাত হানার আগে চীনের হাইনান প্রদেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় টাইফুন ইয়াগি। বেশ কয়েকজনের প্রাণহানিও ঘটে। ধ্বংস হয়েছে ২৫ হাজারের বেশি বাড়িঘর। প্রায় ৭৬ হাজার মানুষকে অস্থায়ীভাবে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।
ইয়াগিকে গত এক দশকের মধ্যে সব থেকে শক্তিশালী টাইফুন হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে ফিলিপিন্সে আঘাত হানে সুপার টাইফুনটি।