ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৮ নভেম্বর ২০২৪

সোনামণিদের অ্যাজমা: চাই সচেতনতা

প্রফেসর ডা: মো: আবিদ হোসেন মোল্লা
নভেম্বর ২৮, ২০২৪ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ । ৯২ জন

অ্যাজমা একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। বাংলাদেশে প্রায় ৭০ লাখ অ্যাজমা রোগীর মধ্যে ৪০ লাখই হলো শিশু-কিশোর। শিশুদের জন্যে যে কোনো রোগই যে কোনো সময় হুমকি হয়ে উঠতে পারে। আর এ বিচারে অ্যাজমা একটু বেশিই সাবধানতার দাবি রাখে। বর্তমানে এ রোগ ব্যবস্থাপনায় বেশ কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। ফলে অ্যাজমার রোগী সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। তবে অ্যাজমার ক্ষেত্রে ওষুধের ব্যবহারই শেষ কথা নয়। বরং এ ব্যাপারে সম্যক ধারণা থাকাও একান্ত প্রয়োজন।

অ্যাজমা কী?
ফুসফুসের ভিতরে থাকে অসংখ্য সরু শ্বাসনালি। কারো কারো ক্ষেত্রে কিছু উদ্রেককারীর (triggers) প্রভাবে এই শ্বাসনালিগুলো সংকুচিত হয়, শ্বাসনালিতে মিউকাস নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং ফুসফুসে বাতাস চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে শিশুর শ্বাসকষ্ট হয়। অতিরিক্ত কাশি হয় (মূলত রাতে)। দম আটকে যাবার মতো অবস্থাও হয়ে থাকে; বুকের ভিতর শোঁ শোঁ শব্দ হয়। এরকম রোগ লক্ষণসমূহকে অ্যাজমা বলা হয়।

অ্যাজমা কেন হয়?
একদম সঠিক করে অ্যাজমার কারণ এখনো বলা সম্ভব নয়। তবে অ্যালার্জিজনিত কারণেই এ রোগ হয়ে থাকে। পরিবারের কারো অ্যাজমা থাকলে অন্যান্য সদস্যদেরও অ্যাজমা হতে পারে। যেমন- ধূমপায়ী মায়ের শিশু। বংশ বা পরিবেশ ছাড়াও কিছু বস্তু বা পারিপার্শ্বিক কারণেও অ্যাজমা হয়। যেমন দীর্ঘমেয়াদি সর্দি-জ্বর, ধূলাবালি, কাপের্ট বা কাপড়ের ময়লা, পোষা প্রাণীর সংস্পর্শ (যেমন: লোম, লালা বা চামড়া), আবদ্ধ ও স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ, দ্রুত তাপমাত্রার পরিবর্তন (যেমন: এসি রুম হতে বাইরে বা বাইরে হতে এসি রুমে প্রবেশ), খেলাধুলা, মানসিক উত্তেজনা, কিছু কিছু ওষুধ যেমন এসপিরিন, সিনথেটিক পোশাক, বিশেষ ঋতু শীত বর্ষা, পোকামাকড় যেমন: তেলাপোকা, মাইট (Dust mite) ইত্যাদি। বিশেষ কোনো খাদ্যও ব্যক্তিবিশেষের জন্যে অ্যাজমা উদ্রেককারী হতে পারে। ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, গরুর মাংস, বেগুন, হাসের মাংস, হাসের ডিম ইত্যাদি খাবারকে অনেকে অ্যাজমা উদ্রেককারী বলে মনে করলেও এর তেমন কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আবার পূর্বোল্লিখিত অ্যাজমার কারণগুলোও সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য নয়। একেকজন একেকটা বা কয়েকটা বিশেষ কারণেই শুধু আক্রান্ত হয়ে থাকেন। যেমন: কেউ কেউ শুধু ফুলের ঘ্রাণ নিলে অ্যাজমায় ভোগেন। কারণ ফুলের পরাগ সরাসরি বা বাতাস বাহিত হয়ে শরীরে ঢোকে এবং কারো কারো অ্যাজমা শুরু করতে সাহায্য করে।

আইসক্রিম বা ঠাণ্ডা পানীয় কি নিরাপদ?
একেকজনের একেক কারণে অ্যাজমা হয়। কারো যদি আইসক্রিম বা ঠাণ্ডা পানীয়ে অ্যাজমা বাড়ে তবে সে ওগুলো খাবে না। কিন্তু আইসক্রিম বা ঠাণ্ডা পানীয়ের কারণে অ্যাজমা হবে বা অ্যাজমার প্রকোপ বেড়ে যাবে, এমন কোনো কথা নেই।

কীভাবে এ রোগের চিকিৎসা করতে হবে?
এ্যাজমার জন্য শুধু ওষুধ সেবনই যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্যবিধিও অবশ্যই মেনে চলতে হবে। ওষুধের মধ্যে কিছু আছে উপশমকারী ওষুধ, যা তাৎক্ষণিকভাবে রোগ লক্ষণকে কমিয়ে দেয়। যেমন- সালবিউটামল, ইপ্রাট্রপিয়াম, স্টেরয়েড ইত্যাদি। আর কিছু আছে যাদের কাজ হলো রোগ প্রতিরোধ করা। যেমন- শ্বাসের সাথে নেয়া স্টেরয়েড (বিক্লোমিথাসন, ফ্রুটিকাসন) ইত্যাদি প্রতিরোধকারী ওষুধগুলো বারে বারে শুধু আক্রমণই কমায় না, আক্রমণের তীব্রতাও কমায়। এ ওষুধ নিয়মিত ব্যবহার না করলে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়, ফলে শিশুরা প্রায়ই কমবেশি শ্বাসকষ্টে ভোগে। অ্যাজমা রোগীদের সাধারণত এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধের দরকার নেই এবং জীবাণুর সংক্রমণ না হলে এন্টিবায়োটিকও নিষ্প্রয়োজন।

ওষুধ কতদিন চালাতে হবে?
প্রতিরোধকারী ওষুধ কার্যকরী হতে সাধারণতঃ ৩-৮ সপ্তাহ সময় লাগে। ফলে ৮ সপ্তাহের আগে কোনো ওষুধ পরিবর্তন করা ঠিক নয়। সন্তোষজনকভাবে রোগ নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। তবে কমপক্ষে ১ বছর, কখনও কখনও কয়েক বছরও চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। রোগীর অবস্থা পর্যালোচনা করে ওষুধ বা ঔষধের মাত্রা পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয়। কমপক্ষে ৩ মাস সন্তোষজনকভাবে রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে ওষুধের মাত্রা ধীরে ধীরে কমিয়ে সর্বনিম্নমাত্রায় এনে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। ওষুধ ব্যবহার বা ওষুধ ব্যবহার ছাড়াই রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও উপশমকারী ওষুধ (যেমন- সালবিউটামল ইনহেলার) খেলার মাঠ, স্কুল বা ভ্রমণে সঙ্গে রাখা উচিত। দূরে কোথাও গেলে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন সঙ্গে নিয়ে যাওয়া উচিত।

ব্যবহৃত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সব ওষুধেরই কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। সালবিউটামলে কাঁপুনী, বুক ধড়ফড় করা, অনিদ্রা, বমি, মাথা ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে। ইপ্রাট্রপিয়ামে মুখ শুকিয়ে যায়, প্রস্রাব আটকে যেতে পারে; স্টেরয়েড ব্যবহারে মুখ ও গলায় ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে, গলা বসে যেতে পারে। মুখে দীর্ঘদিন স্টেরয়েড খেলে যদিও অসুবিধে হয়, তবে দু’সপ্তাহের কম খেলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। স্পেসারের মাধ্যমে ইনহেলার নিলে বা ইনহেলার ব্যবহার করার পর পানি দিয়ে কুলি ও গড়গড়া করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আরো কম হয়। ইনহেলারের মাধ্যমে রোগীকে খুবই কম পরিমাণ ওষুধ দেয়া হয় এবং তা ফুসফুস ছাড়া অন্য কোথাও পৌঁছায় না বলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না বললেই চলে।

কী কী স্বাস্থ্যবিধি মানা উচিত
ক. নিয়মিত ও নির্দেশ মতো ওষুধ ব্যবহার, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বাদ দেয়া যাবে না।
খ. হাতের কাছে সবসময় (যেমন: স্কুলে বা মাঠে, ভ্রমণে) ওষুধ রাখতে হবে যেন প্রয়োজনে সাথে সাথে ব্যবহার করা যায়।
গ. তীব্র অ্যাজমা হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। প্রয়োজন হলে সালবুটামল নেবুলাইজার/ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে।
ঘ. যে সব খাবারে অ্যাজমা হয় বলে মনে হয় তা এড়িয়ে চলতে হবে।
ঙ. শিশুর স্বাভাবিক গোসল বন্ধ করার দরকার নেই। গোসলে কোন ক্ষতি হয় না।
চ. ঘরদোর খোলামেলা, শুষ্ক ও আলো হাওয়াময় হওয়া চাই।
ছ. কার্পেট, পোষা প্রাণী, লোমশ খেলনা ইত্যাদি ব্যবহার না করাই ভালো।
জ. পরিবেশ সম্ভবমত ধোঁয়ামুক্ত হতে হবে। শিশুর সামনে ও বাড়ীতে ধূমপান করা যাবে না।
ঝ. রক্তচাপ ও ব্যথানাশক কিছু ওষুধ ক্ষতিকর হতে পারে। এগুলো ডাক্তারের কাছ থেকে ভালো করে বুঝে নিতে হবে।

শিশুর অ্যাজমা কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
বিজ্ঞানীরা এখনো অ্যাজমা প্রতিরোধের কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা দিতে পারেননি। তবে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখলে অ্যাজমার ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।
ক. শিশুর ছয় মাস বয়স পর্যন্ত তাকে শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ান।
খ. শিশুকে বেশি করে মাছ খাওয়ানোতে অভ্যস্থ করুন।
গ. অধিক লবণাক্ত খাবার বা ফাস্টফুড এড়িয়ে চলতে হবে।

অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে শিশুর কী কী জটিলতা হতে পারে?
১. যথাযথ দৈহিক বৃদ্ধি না হওয়া।
২. মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়া।
৩. স্কুলে অনুপস্থিত থাকা।
৪. বুকের খাঁচার বিকৃতি।

শিশুর অ্যাজমা: ওর কী হবে?
না, ভয় নেই। বর্তমানে অ্যাজমার এমন সব চিকিৎসা রয়েছে যে, যেগুলোর মাধ্যমে এ রোগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত রেখে শিশু দৈহিক, মানসিক, সামাজিক ইত্যাদি সকল দিকেই বিকশিত হতে পারে। অনেক বিশ্ববিখ্যাত সফল খেলোয়াড় বা রাজনীতিবিদ অ্যাজমা নিয়েই বিশ্ব জয় করেছেন। দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিলে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক শিশু রোগমুক্ত হয়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, ১১-১৬ বছর বয়সে ৭০-৮০% জন সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। আর ২০ বছর বয়সে ভালো হয়ে যাওয়ার হার প্রায় ৯০%।

ছোট শিশুর অ্যাজমা কীভাবে বোঝা যায়?
যে শিশুরা কথা বলতে পারে না বা সঠিকভাবে সমস্যা বলতে পারে না, তাদের অ্যাজমা নির্ণয়ে সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে মনোযোগ দেয়া উচিত। যেমন –
১. ঘন ঘন বিরতিতে কাশি/শ্বাসকষ্ট হওয়া
২. শ্বাস নেয়ার সময় বাঁশির মত আওয়াজ বের হওয়া
৩. ঘুমের ভিতর কাশি হয়
৪. হঠাৎ করে দৌড়ঝাঁপ, খেলাধুলা শুরুর পর শ্বাস কষ্ট, কাশি শুরু হয়
৫. সলবুটামল নেবুলাইজারে উপশম হওয়া

অ্যাজমা কি ছোঁয়াচে রোগ?
না। এটা ছোঁয়াচে রোগ নয়। রোগীর খাট, বিছানা, প্লেট ইত্যাদি অনায়াসে ব্যবহার করা যায়।

সংকটজনক অ্যাজমা
অনেক সময় হঠাৎ করে অ্যাজমা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এমনকি যথাযথ চিকিৎসা প্রদানের পরও অনেক সময় খারাপ পরিণতি এড়ানো যায় না। তাই প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে এ বিষয়ে ভালো করে জানা উচিত।

লক্ষণসমূহ
১. অত্যাধিক অবসন্নতা,
২. তীব্র শ্বাসকষ্ট,
৩. ঠোঁট, জিহবা, নখ কালচে হওয়া,
৪. একদমে এক বা দুই শব্দের বেশি বলতে না পারা,
৫. দু-এক কদমের বেশি হাঁটতে অক্ষম হওয়া,
৬. অস্থিরতা, বুকের খাঁচা বসে যাওয়া বা গলা ডেবে যাওয়া,
৭. নিঃশ্বাসে বুকের খাঁচা বসে যাওয়া, গলা ডেবে যাওয়া, গলার মাংস ফুলে ওঠা,
৯. বুকের ভিতর তীব্র শোঁ শোঁ বা বাঁশীর মত শব্দ হওয়া,
১০. চিকিৎসার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়া,
১১. এরকম আরো আক্রমণের পূর্ব ইতিহাস থাকা।

সংকটজনক অবস্থায় কী করতে হবে?
তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে নিতে হবে। এজন্য অ্যাজমা রোগের চিকিৎসা হয় এমন বিশেষ হাসপাতালের ঠিকানা এবং ফোন নম্বর সবসময় সংরক্ষণ করা উচিত। এতে জরুরি অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যাবে। হাসপাতালে যাবার সময় প্রেসক্রিপশন, ওষুধ ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র নিতে ভুলবেন না। এ সময় স্পেসারের সাহায্যে সালবিউটামল ইনহেলার নেয়া যায়। স্পেসার না থাকলে কাগজ দিয়ে চোঙ বানিয়ে বা খালি প্লাস্টিকের বোতলকে স্পেসার বানিয়ে ২ চাপ করে ৫-২০ মিনিট পর পর নিতে হবে। কাছে থাকলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা যাবে।

ইনহেলার কখন, কতদিন ব্যবহার করতে হবে?
অনেকেই মনে করেন, অ্যাজমার সমস্যা কম হলে ইনহেলার ব্যবহারের দরকার নেই। কিন্তু সর্বাধুনিক বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় শুরু থেকেই ইনহেলার ব্যবহার করা উচিত। এটা শেষ চিকিৎসা নয়। ইনহেলার একবার ব্যবহার করলে চিরদিন ব্যবহার করতে হবে, একথা মোটেই সত্য নয়। বরং ইনহেলার ব্যবহারে উপশমকারী ওষুধের প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। ভবিষ্যতে ওষুধের ব্যবহারই কমিয়ে দেয়া যেতে পারে।

শিশুদের জন্য যেহেতু অ্যাজমা এমন একটা সমস্যা, যা আগেভাগে রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা দেয়া অত্যন্ত জরুরি। একই সাথে যে সমস্ত শিশুরা ঘন ঘন অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়, তাদের প্রতিরোধক ব্যবহার করা জরুরি এবং তা করতে পারলেই হাপানীতে আক্রান্ত শিশুরা সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা পাবে। অন্যথায় এ রোগের নানাপ্রকার জটিলতায় তাদের জীবনের স্বাভাবিক বিকাশ বাধা হয়ে থাকবে।

নোট: শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যপক ডা: মো: আবিদ হোসেন মোল্লার লিখিত ‘শিশু স্বাস্থ্যের খুঁটিনাটি’ বই থেকে নেওয়া হয়েছে তাঁর অনুমতিক্রমে।